আগস্টে লংকান প্রিমিয়ার লিগ খেলার সুযোগ হতে পারে মুশফিক-তামিমদের
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। আর তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর ব্যাপারে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) বেশ জোরেশোরেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারী অনুমোদনও পেয়ে গেছে এসএলসি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত সিরিজ খেলতে সহসাই ভারত এবং বাংলাদেশ দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সফর করছে না। আর তাই সেই সিরিজগুলো যদি না হয়, সেক্ষেত্রে আগামী আগস্টে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের কথা ভাবছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লিগের ২০১২ সালের সর্বশেষ আসরে খেলেছিলেন মুশফিক-তামিমরা।
ক্রিকইনফোর সূত্র অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভা লিগ আয়োজনের বিষয়টি জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর সেসব দেশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কেও লিগে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৫ দল নিয়ে ৩ সপ্তাহে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় এসএলসি।
যদিও এই নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে এই লিগের ভবিষ্যৎ। বিশেষভাবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে যেসব সিরিজ আয়োজনের কথা রয়েছে, সেসব পিছিয়ে গেলেই কেবল এই লিগ আয়োজন সম্ভব। এছাড়া লিগে কর্পোরেট এবং স্পন্সরদের আগ্রহ কতটুকু সেটাও দেখার বিষয়।
এদিকে আগস্ট থেকে শ্রীলঙ্কায় বিদেশীদের আগমনের ক্ষেত্রে কড়াকড়িও শিথিল হচ্ছে। তখন থেকে আর দেশটিতে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে না। শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে এবং বিমান থেকে নামার পরে দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন বিদেশীরা। আর এতে করে টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করা হলে তাতে বিদেশী খেলোয়াড়দের অংশ নিতে খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের চেষ্টা অবশ্য এবারই প্রথম করছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। এর আগেও ছয়বার ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আয়োজনের চেষ্টা করে মোটে একবার সফল হয়েছিল সংস্থাটি। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ নামে একটি টুর্নামেন্ট মাঠে নামাতে পারলেও সেটিও এক মৌসুমের বেশি এগোয়নি। বিদেশী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে অনাগ্রহ এবং পরবর্তীতে দুর্নীতির অভিযোগে হারিয়ে যায় সেই টুর্নামেন্ট।
আর এই লিগ ছাড়াও ভারতের বিপক্ষে ৩ ওয়ানডে ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টির সিরিজ, বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজ এবং সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ আয়োজনের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে এসএলসি।