• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    'বদলি' সুযোগে বাজিমাৎ!

    'বদলি' সুযোগে বাজিমাৎ!    

    অভিষেক একদিনের আন্তর্জাতিক শতক বিশ্বকাপের মাঠ থেকে পাওয়ার আনন্দটা যে কোন ব্যাটসম্যানের জন্যই একটু অন্যরকম। আর সেটা যদি হয় কারও বদলি হিসেবে ভাগ্যক্রমে দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ার পর? বলা হচ্ছে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের কথা। ২০০৩ বিশ্বকাপের প্রাক্কালে মাঠের বাইরের নানা সমস্যায় বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া দলকে প্রথম ম্যাচেই দারুণ জয় এনে দেয়ার পথে খেলেছিলেন ১৪৫ রানের চোখজুড়ানো হার না মানা এক ইনিংস।

     

     

    সায়মন্ডস যখন ব্যাট হাতে নামছেন তখন অসি স্কোরবোর্ডে ১৫.৫ ওভারে ৮৬ রান। রানের চাকা বলের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘুরলেও নিয়মিত বিরতিতে ততক্ষণে পড়ে গেছে চার উইকেট। প্রথম বলেই ওয়াকার ইউনুসের বাউন্সারে ভড়কে যাওয়া ছেলেটা খুব সুবিধে করতে পারবে বলে মনে হচ্ছিল না। কিন্তু রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গী হয়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে যেতে খুব বেশী সময় নিলেন না।

     

     

     

    ব্যক্তিগত ৫৩ রান করে পন্টিং ফেরার পথ ধরলেও সায়মন্ডসের সাবলীলতায় কোন ছেদ পড়লো না। সেই ওয়াকারকে কাভার দিয়ে সীমানাছাড়া করে অর্ধশতক পেরোলেন। অভিষেক শতকটা তুলে নিলেন আফ্রিদির বলে চার মেরে। তার আগে এক ওভারেই আফ্রিদীকে সীমানা ছাড়ান চার চারবার।

     

     

    অপর প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চললেও সায়মন্ডস অবিচল থেকে রানের চাকা ঘুরিয়ে যান। শতক পেরিয়ে রুদ্রমূর্তির চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষেও অপরাজিত সায়মন্ডসের খাতায় ১৪৩ রান; ১২৫টি বলের মোকাবেলায় চরের মার ছিল ১৮টি, ছয় ২টি। ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ গিয়ে ঠেকেছে ৮ উইকেটে ৩১০।

     

     

    ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় ৮২ রানের বড় ব্যবধানে। অনবদ্য রানের সংগ্রহের সাথে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরা ওই ‘বদলি’ সায়মন্ডসই।