করোনার প্রভাবে বাজেট কমে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের
করোনার প্রভাবে কমে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বাৎসরিক বাজেট। আগামী বছরের বাজেটের প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। ভিডিও কনফারেন্সে ৫৮ তম বোর্ড অফ গভর্নরের সভায় আগামী অর্থবছরে ৪৬.২ মিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যার মাঝে সরাসরি ক্রিকেট সম্পর্কিত খাতে খরচ করা হবে ৩২.৯ মিলিয়ন ডলার। করোনার কারণে বিভিন্ন খাতে খরচ কমিয়ে দেওয়া এবং কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ফলেই ১০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে খরচ কমানোতে দেশটির ক্রিকেট কার্যক্রমে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে পিসিবি।
করোনার কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেট সূচিতে বেশি প্রভাব পড়েনি। শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ এবং পিএসএলের প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো স্থগিত হয়েছে। আর করোনার ঝড় ঠেলে ক্রিকেটে ফেরার পথে থাকা প্রথম দেশগুলোর মাঝে রয়েছে পাকিস্তান। আগামী আগস্ট থেকে ইংল্যান্ডে তিন টেস্ট এবং সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে দেশটি।
আগামী অর্থবছরের মোট বাজেটের ৭১.২ শতাংশ বা ৩২.৯ মিলিয়ন ডলার সরাসরি ক্রিকেট কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হলেও ক্রিকেট উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছে পিসিবি।
পাকিস্তানের ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সিরিজ এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য ৬.৩৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে পিসিবি। আর আগামী বছর পিএসএল মাঠে নামাতে পিসিবির খরচ হতে পারে ৬.৪৮ মিলিয়ন ডলার। আসছে অর্থবছরে বাজেট কমানোয় সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশটির ক্রিকেট কাঠামো খাতে। এই খাতে আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৪০ ভাগ কম বরাদ্দ দিয়েছে পিসিবি। আগের বছর প্রায় ২০০ কোটি রুপি এই খাতে খরচ করা হলেও এবার সেটা কমে ১২০ কোটি রুপিতে গিয়ে ঠেকেছে।
আর ঘরোয়া ক্রিকেট এবং খেলোয়াড়দের জন্য একটি বর্ধিত বেতন কাঠামো তৈরির জন্য প্রায় ৮.১২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রেখেছে সংস্থাটি। আর নারী ক্রিকেটের জন্য আগামী অর্থবছরে পিসিবির বরাদ্দের পরিমাণ ১.৮১ মিলিয়ন ডলার।