• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লুকাকুদের "হারিয়ে দিল" নয় বছরের জর্জ

    লুকাকুদের "হারিয়ে দিল" নয় বছরের জর্জ    

    রস বার্কলি, অ্যারন লেনন কিংবা কেভিন মিরালাস- ইংলিশ ক্লাব এভারটনের তারকাদের হারিয়ে দিল এক নয় বছরের বালক। ভক্তদের ভোটে জানুয়ারিতে এভারটনের সেরা গোলের পুরষ্কারটি জিতেছে জর্জ ‘শ। পেয়েছে মোট ভোটের প্রায় ৮৬ শতাংশ! যেখানে দ্বিতীয়তে থাকা বার্কলি পেয়েছেন ৬ শতাংশ ভোট। ‘সেরেবরাল পালসি’ রোগে আক্রান্ত ‘শ গত জানুয়ারিতে গোলটি করেছিল সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে। তাঁর দেয়া সেই গোলের জন্যেই জিতল এই পুরষ্কার। আর সেই সাথে জয় হল মানবতার!

     

    Nine-year-old George, who has cerebral palsy, has won Everton's Goal of the Month award!Nicole Dabeau for @TheBuzzer.

    Posted by FOX Soccer on Tuesday, February 9, 2016

     

     

    জর্জ ‘শ এর রোগটি মূলত মস্তিষ্কজনিত। এ রোগে মানুষের পেশী শক্তি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তবে রোগের কাছে হেরে যেতে নারাজ ‘শ। স্বপ্ন দেখেছিল এভারটনের হয়ে গোল করার। সেই লক্ষ্যে ভঙ্গুর শরীরেও অনুশীলন চালিয়ে গেছে এই নয় বছরের বালক। প্রিয় খেলোয়াড় ডেলোফু’র ১৯ নম্বর জার্সি গায়ে মাঝে মধ্যেই ফুটবল নিয়ে কারিকুরি করে সে। ‘শ এর তেমনই একটি ভিডিও চোখে পড়ে স্বয়ং জেরার্ড ডেলোফুর।

     

     

    এমন একজন ভক্তের স্বপ্ন পূরণের দায়িত্বটা তাই নিজেই নিলেন জেরার্ড ডেলোফু। জর্জ ‘শ কে সুযোগ করে দিলেন গুডিসন পার্কে সোয়ানসির বিপক্ষে খেলতে নামার। ‘শ খেলল। এবং সোয়ানসির জালেও বল জড়ালো। স্বপ্নটা তাঁর পূরণ হয়েছিল সেদিনই। তবে এভারটন তাদের সবচেয়ে বড় ভক্তটির জন্য আরো বড় চমক দেয়ার অপেক্ষায় ছিল। জানুয়ারিতে ক্লাবটির সেরা গোলের মনোনয়নে দেয়া হল জর্জ ‘শ এর গোলটিও। এবং ভঙ্গুর পায়ের সেই গোলটিকেই সবচেয়ে বেশী ভোট দিল এভারটন সমর্থকরা।

     

    জানুয়ারির সেরা গোলের মনোনয়নে ‘শ এর গোলের পাশাপাশি ছিল ক্যাপিটাল ওয়ান কাপে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে বার্কলির একক প্রচেষ্টায় করা দুর্দান্ত গোলটিও। তাছাড়া চেলসির মাঠে মিরালাসের চোখ ধাঁধানো গোল এবং টটেনহ্যামের বিপক্ষে লেননের করা গোলটিও ছিল লিস্টে। তবে এভারটন তারকাদের গোলগুলোকে ছাপিয়ে সমর্থকদের কাছে ‘শ এর গোলটিই ছিল সেরা। কারণ, এই গোলে শুধু এভারটন নয়, জিতেছে ফুটবল, জিতেছে মানবতা।

     

    গডিসন পার্কে খেলতে নেমেই দারুণ খুশি ছিল জর্জ। এবার সেরা গোলের পুরষ্কার পেয়ে সেই আনন্দ আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেছে তাঁর, “এটা দারুণ ব্যাপার। আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সমর্থন পাচ্ছি তা অসাধারণ। কখনোই ভাবিনি কোনো ট্রফি জিতবো। তবে কোনো পুরষ্কার পাওয়া যে অন্যদের দেখাতে পারবো...সেটা সত্যিই অনেক আনন্দদায়ক।”

     

    হয়ত আবেগের জায়গা থেকেই এভারটনের সমর্থকরা ‘শ কে পুরষ্কারটি জিতিয়েছে। তবে নয় বছরের জর্জ ‘শ শুধু একটা পুরষ্কারই জিতে নি। সেই সাথে সে জয় করেছে তাঁর সীমাবদ্ধতাকে। আর সাহস জুগিয়ে দিল আরো অসংখ্য শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের... স্বপ্ন দেখার!