দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ্বকাপ ফাইনাল ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে 'অব্যাহতি' দেওয়া হলো সাঙ্গাকারাদের
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ ফিক্সিং করা হয়েছে, এমন অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচকদের। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর আনা অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি’ বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তদন্ত কার্যক্রমও।
মুম্বাইয়ে ভারতের কাছে সে ফাইনাল ইচ্ছা করে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা, এমন অভিযোগ তুলেছিলেন দেশটির তখনকার ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিনদানান্দা আলুথগামাগে। তারই প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল তখনকার নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক অরভিন্দ ডি সিলভা, সে ম্যাচের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা ও ওপেনার উপুল থারাঙ্গাকাকে।
২ জুলাই সাঙ্গাকারাকে প্রায় ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এমন জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সাংবাদিকরা। থারাঙ্গা ও ডি সিলভাকেও বেশ দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশ্য এমন তদন্ত ও সাবেক ক্রিকেটারদের ‘হেনস্থা’ ভালভাবে নেয়নি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটপ্রেমীরা, টুইটারে এর প্রতিবাদের ছবিও দেখা গেছে।
সে ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহেলা জয়াবর্ধনেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, বলা হয়েছিল এমন। সংবাদমাধ্যমগুলি বলছে, এই তদন্তে সহায়তা করবেন না জয়াবর্ধনে, এমন আলোচনা ওঠার পর তিনি নিজে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছিলেন, যদিও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
“যে তিনটি জবানবন্দী আমরা পেয়েছি, তাতে এটা পরিষ্কার যে মাহিনদান্দানা আলুথগামাগের আনা অভিযোগের ১৪টি পয়েন্ট প্রমাণ করা যাবে না”, লঙ্কাদিপাকে বলেছেন পুলিশের সিনিয়র এসপি জগথ ফনসেকা।
এর আগে আলুথগামাগে বলেছিলেন, তার অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এমন কিছু ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ফনসেকা, “যদিও বলা হয়েছে আইসিসির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে, আইসিসি এমন কিছুর ইঙ্গিত দেয়নি। আইসিসি তাদের নিজেদের তদন্তও শুরু করেনি (এ ব্যাপারে)।”
এমন কোনও অভিযোগ আইসিসি পায়নি, ক্রিকইনফোকে এমন জানিয়েছেন আইসিসির একজন কর্মকর্তা ও ২০১১ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর।
আলুথগামাগের অভিযোগ মূলত ছিল ফাইনাল ও টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার দল নির্বাচন নিয়ে। সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে ৪টি পরিবর্তন এনেছিল তারা। তবে ডি সিলভা, সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে বরাবরই বলে এসেছেন, চোট ও দলের ভারসাম্য রক্ষার কারণেই সেসব পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।
গত বছর শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ ফিক্সিংকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন পাশ করা হয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে এ তদন্ত সেই আইনের আওতার মধ্যেই পড়ে।