'কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট'-এর অভিযোগ কোহলির বিরুদ্ধে
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বা ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’-এর অভিযোগ পেয়েছে বিসিসিআই। দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কোহলির জড়িত থাকা বিসিসিআইয়ের সংবিধান বিরোধী, অভিযোগ এমন।
বিরাট কোহলি স্পোর্টস (এলএলপি) এবং কর্নারস্টোন ভেনচার পার্টনারস (এলএলপি)-এ কোহলির সহকারি পরিচালকরা কর্নারস্টোন স্পোর্ট অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড-এরও পরিচালক, যে কোম্পানি ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ডিং ও বাণিজ্যিক দিক নিয়ে কাজ করে। কোহলির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, এ দুটি কোম্পানিতে থেকে ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ এর ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য সঞ্জীভ গুপ্ত বিসিসিআইয়ের এথিকস অফিসার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে জেইনের সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি, প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে ই-মেইলে এ অভিযোগ জানিয়েছেন।
“শ্রী বিরাট কোহলি দুটি পদে আছেন একই সময়ে, যা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমোদিত বিসিসিআইয়ের ৩৮ নং ধারার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ কারণে তাকে অবশ্যই একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে। তার দুটি পদ সেকশন এ-৩৮(৪)(এ)- খেলোয়াড় এবং বি-৩৮(৪)(ও)- চুক্তির অধীনে থাকা ব্যক্তি-- এর অধীন”, অভিযোগে বলেছেন গুপ্তা।
বিসিসিআইয়ের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৮ এর ৪ নম্বর ধারায় উল্লেখিত পদগুলির মাঝে একটির অধিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তির জন্য বারণ। বর্তমান খেলোয়াড়, নির্বাচক বা ক্রিকেট কমিটির সদস্য, ধারাভাষ্যকার, টিম অফিশিয়াল-- এমন ১৬টি পদ উল্লেখ করা আছে সেখানে।
কোহলির বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন, সেই গুপ্তই এর আগে শচীন টেন্ডূলকার ও ভিভিএস লাক্সমান এবং রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছিলেন। তাদেরকে নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার অভিযোগ শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।