নেইমারের গোলে ফ্রেঞ্চ কাপ জিতে নিল পিএসজি
ফুল টাইম
পিএসজি ১ - ০ সেইন্ট এতিয়েন
ঘরোয়া ডাবল পূর্ণ করল পিএসজি। লিগ ওয়ানের পর ফ্রেঞ্চ কাপও দাপটের সঙ্গে জিতে নিল প্যারিসিয়ান ক্লাবটি। প্রথমার্ধে নেইমারের দেওয়া একমাত্র গোলে ১৩ তম বারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপ উঁচিয়ে ধরল পিএসজি। তবে এমবাপ্পের চোট বড় চিন্তা হয়ে এসেছে পিএসজির জন্য।
গত মার্চে করোনাভাইরাসের কারণে ফ্রান্সে ফুটবল বন্ধ হওয়ার পর এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামল পিএসজি। আর স্তাদে ডি ফ্রান্সে স্বল্পসংখ্যক দর্শকও এই ম্যাচে মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। চার মাসেরও বেশি সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামলেও ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই পুরনো রূপে খেলেছে থমাস টুখেলের দল। প্রথম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের থ্রু বল ধরে একটুর জন্য বল জালে পাঠাতে পারেননি নেইমার। দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায় বল। যদিও পরবর্তীতে এমবাপ্পে অফসাইড ছিলেন বলে জানান রেফারি।
তবে সেই ব্যর্থ চেষ্টার পর নেইমার-এমবাপ্পে কেউই দমে যাননি। বরং ম্যাচের ১৪ মিনিটে এতিয়েনের ডিফেন্ডার ডেবুচির ভুলের সুযোগ নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন তারা। বক্সের বাইরে ডেবুচি হেলায় বল তুলে দেন এমবাপ্পের পায়ে। সেই বল নিয়ে বক্সের ভেতরে চলে আসেন তিনি। তবে তার শট এতিয়েন গোলরক্ষক মউলিন ঠেকিয়ে দেন। শট ঠেকিয়ে দিলেও সেটা গিয়ে পৌঁছে নেইমারের পায়ে। সেখান থেকে বল জালে পাঠাতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের।
আর ৩১ মিনিটে এমবাপ্পেকে ফাউল করে ভিএআরের হস্তক্ষেপে এতিয়েন ডিফেন্ডার লইক পেরিন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর আরও বিপাকে পড়ে দলটি। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় এতিয়েন। পেরিনের ফাউলের পর আর মাঠে থাকতে পারেননি এমবাপ্পে, ম্যাচ শেষে ক্রাচের সাহায্যে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে তাকে। তার চোট কতটা গুরুতর, সেটা নিয়েই এখন শংকা থাকবে সিটির।
অবশ্য ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল এতিয়েন। বাম প্রান্ত দিয়ে দারুণ দৌড়ে তিন পিএসজি ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে বক্সের ভেতর ঢুঁকে গিয়েছিলেন ডেনিস বুয়াঙ্গা। তার নিচু শট এরপর কেইলর নাভাসকে বোকা বানালেও দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এটিই ছিল ম্যাচে এতিয়েনের গোলের সেরা সুযোগ।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই বেশকিছু ভালো সুযোগ পেলেও গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি কেউই। ফ্রেঞ্চ কাপ জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগে প্রস্তুতি ভালোভাবেই সারল পিএসজি।