রোমার সঙ্গে বিচ্ছেদ টট্টির?
পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত কেবল একটি দলেই খেলেছেন। ফ্রান্সেস্কো টট্টি আর রোমা শব্দ দুটো দুই যুগের যুগলবন্দীতে কার্যত সমার্থকই হয়ে গেছে। ইতালি জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা সিরি আ’র ক্লাবটিতে নেতৃত্বও দিচ্ছেন ১৯৯৮ সাল থেকে। গত সেপ্টেম্বরে রোমার হয়ে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছুঁয়েছেন ৩০০ গোলের মাইলফলক। অথচ মাস তিনেকের চোট সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো করে দিয়েছে। দলের অধিনায়ককে ম্যাচের পর ম্যাচ বসে থাকতে হচ্ছে সাইড বেঞ্চে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বৈরথে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন ৮৭ মিনিটের মাথায়। জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আজ রাতের লিগ ম্যাচে স্কোয়াড থেকেই বাদ দেয়া হতে পারে তাঁকে! এমন প্রেক্ষিতে ‘বর্ষীয়ান’ এই ফরোয়ার্ড বলছেন, এভাবে চললে তাঁর পক্ষে আর রোমায় থাকা সম্ভব হবে না।
রোমার একাদশে টট্টির অনিয়মিত হয়ে যাওয়াটা অবশ্য চোট পাওয়ার আগে থেকেই। গত মৌসুমে খেলেছিলেন ৩৬টি ম্যাচে। অথচ শেষের পথে থাকা চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৫ বার। কিন্তু আচমকাই তাঁকে এভাবে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না এই ফরোয়ার্ড, “আমি এখনও শারীরিকভাবে যথেষ্ট সমর্থ আছি এবং আমি খেলতে চাই। চোট সারিয়ে আমি এখন পুরোপুরিই সুস্থ। সুতরাং এখনও আমাকে বসিয়ে রাখার কারণটা হবে ভিন্ন কিছু।”
তবে কারণ যেটাই হোক, এভাবে বসে থাকা মেনে নিতে পারছেন না টট্টি, “কতো আর বেঞ্চে বসে থাকা যায়? বুঝতে পারছি যে এই বয়সে আমি চাইলেও খুব বেশী ম্যাচ খেলতে পারবো না। কিন্তু তাই বলে এতো কমও তো খেলতে পারি না। এভাবে বসিয়ে রেখে রোমার প্রতি আমার অবদানকে খাটো করা হচ্ছে। এই ক্লাবের জন্য আমি যা কিছু করেছি সেসবের জন্য আরও বেশী সম্মান আমার প্রাপ্য। সেটুকু না পেলে আসলে আমার পক্ষে এখানে থাকা আর সম্ভব হবে না।”
তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ৩৯ বছর বয়সী অধিনায়কের এমন হাহাকার উপর মহলে পৌঁছয় নি। আর পৌঁছলেও সেটা গৃহীত হয়েছে নেতিবাচকভাবেই। কেননা ইতালীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী আজ রাতে পালেরমোর বিপক্ষে লিগ ম্যাচের স্কোয়াডেই রাখা হয় নি টট্টিকে!
আগামী জুনে রোমার সাথে তাঁর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার কথা। যেভাবে চলছে তাতে চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা ক্ষীণই। কিন্তু বিদায়টা তো অন্তত সম্মানের সাথে পাওয়ার আশা করতেই পারেন ইতালির ঘরোয়া লিগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা এই ফুটবলার।