• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ইউয়েফার কাছে তথ্য-প্রমাণ গোপন করায় সিটির নিন্দা আদালতের

    ইউয়েফার কাছে তথ্য-প্রমাণ গোপন করায় সিটির নিন্দা আদালতের    

    অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ইউরোপে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩০ মিলিয়ন ইউরোর জরিমানাও কমে ১০ মিলিয়নে নেমে এসেছে। তবে অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, কোনও অপরাধ না করলে ১০ মিলিয়ন ইউরোই বা কেন জরিমানা দিতে হবে সিটিজেনদের? ৯৩ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত রায়ে সেই বিষয়টি বিস্তারিত আকারে ব্যাখ্যা করেছে কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)। মূলত ইউয়েফার ক্লাব ফিনান্সিয়াল কন্ট্রোল বডিকে (সিএফসিবি) তদন্তকাজে অসহযোগিতা করাতেই জরিমানার কিছু অংশ বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে রায়ে তদন্তে অসহযোগিতার জন্য সিটির নিন্দাও করেছেন বিচারকরা।

    সিটির বেশকিছু ইমেইল ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ইউয়েফার তদন্তকারীরা সেগুলো পর্যালোচনা করে স্পন্সরদের থেকে ক্লাবটি আয় বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। এরপর সিটির কাছ থেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন নথিপত্র আহবান করে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে সিটি তখন ইউয়েফাকে সব তথ্য দিয়ে সাহায্য করেনি। যাতে করে ইউয়েফা সিটিকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় এবং জরিমানা করে।


    তবে এরপর সিটি সিএএসে নিষেধাজ্ঞা এবং জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করে। আর এই আদালতে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে সব প্রমাণ উপস্থাপন করে। যার অধিকাংশই ইউয়েফার কাছে হস্তান্তর করেনি ক্লাবটি। আর তাই সিটিকে আরও বড় অংকের জরিমানা করার মাধ্যমে অন্য ক্লাবগুলোর জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করা উচিৎ বলে চূড়ান্ত রায়ে উল্লেখ করেছে সিএএস।

    এদিকে সিটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রাখতে অনুরোধ করে সিএএসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ টি প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব চিঠি দিয়েছিল বলে জানিয়েছে সিএএস। ক্লাবগুলো হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, টটেনহাম, উলভস, বার্নলি, নিউক্যাসল ইউনাইটেড এবং লেস্টার সিটি।