বাংলাদেশের প্রেরণা ২০১২
দু’ বছর ঘুরে আবারও দুয়ারে এশীয় ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই। টানা তৃতীয় ও রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক বাংলাদেশ। কাল মিরপুরে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে শুরু মাশরাফিদের মিশন। তবে অন্যান্যবারের সাথে এবারের আসরের বড় একটা পার্থক্য ফরম্যাটে। মূলত ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টটি এবার টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে হচ্ছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। ফলশ্রুতিতে পুরনো পরিসংখ্যান সে অর্থে কোনো ভূমিকা রাখবে না এ যাত্রায়। তথাপি বাংলাদশ-ভারত ম্যাচের প্রাক্কালে এশিয়া কাপে দু’ দলের অতীত দ্বৈরথগুলো এক নজর দেখে নেয়া যাক।
- এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত দশবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ন’ বারই জিতেছে ভারত। ২০১২ সালে অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার আসরটিতে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র জয়ের রেকর্ড আছে সাকিব-তামিমদের।
- দু’ দলের দশবারের লড়াইয়ের সবক’টিতে জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। প্রথম চারটিতেই বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারায় ভারত। আট ও ছয় উইকেটের জয় আছে দুটি করে ম্যাচে। আর ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ভারত জিতেছিল ৭ উইকেটে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি ৫ উইকেটের।
- এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী রানের মালিক মুশফিকুর রহিম। চার ম্যাচ থেকে একটি শতকসহ মুশফিক করেছেন ২১৫ রান। তিন ম্যাচ থেকে দুটি অর্ধশতকসহ তামিম করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৭ রান। দুই ম্যাচ থেকে একটি শতকসহ ১২৫ রান নিয়ে তিন নম্বরে আছেন অলোক কাপালি।
- বিপরীতে ভারতের পক্ষে সবচেয়ে বেশী ৩০৮ রান করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, ৫ ইনিংসের মধ্যে তাঁর আছে একটি করে শতক ও অর্ধশতক। তিন ম্যাচ থেকে একটি শতক ও দুটি অর্ধশতক নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৮ রান সৌরভ গাঙ্গুলির। সমপরিমাণ ম্যাচে একটি করে শতক ও অর্ধশতক নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১৩ রান করেছেন বিরাট কোহলি।
সাম্প্রতিক সময়ে একদিনের ক্রিকেটে নিজেদের মাঠে দারুণ ছন্দে থাকলেও টিটোয়েন্টিতে নিজেদেরকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রমাণ করে উঠতে পারেন নি মাশরাফিরা। বিশ্বকাপের আগে এবারের এশিয়া কাপ তাই সামর্থ্যের জানান দেয়ার একটি বড় উপলক্ষ হতে পারে। উপর্যুপরি সাফল্যে উজ্জীবিত বাংলাদেশ মঞ্চটা কতোটুকু নিজেদের করে নিতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।