• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ ইউরোপে ভাগ্য ফিরবে জুভেন্টাসের?

    কিক অফের আগেঃ ইউরোপে ভাগ্য ফিরবে জুভেন্টাসের?    

    কবে, কখন

    জুভেন্টাস - লিওঁ

    চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ১৬ দ্বিতীয় লেগ

    ৮ আগস্ট, রাত ১.০০


    ঘরের মাঠে প্রথম লেগে জুভেন্টাসকে চমকে দিয়েছিল লিওঁ। প্রথমার্ধে লুকাস টুসার্টের গোলের পর পুরো ম্যাচজুড়ে সেই লিড ধরে রেখেছিল রুডি গার্সিয়ার দল। জুভেন্টাস গোল শোধের চেষ্টা কম করেনি, কিন্তু তারকাবহুল আক্রমণভাগ নিয়েও দলটি মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল। লিওঁ-র আঁটসাঁট রক্ষণের সামনে সেদিন জুভেন্টাসকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছিল।

    তবে সেই ম্যাচ হারে খুব বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে, সেটি বলা যাবে না। এক গোলের লিডকে ফুটবলে খুব বড় সুবিধা হিসেবে দেখা হয় না কখনও। তাই দ্বিতীয় লেগে শুরু থেকে পরিকল্পনা মতো খেললে লিওঁ-কে হারানো খুব কঠিন কাজ হওয়ার কথা নয় বিয়াঙ্কোনেরিদের জন্য। দুই দলের ঘরোয়া লিগে অবস্থানের বৈপরীত্য দেখলেই শক্তিমত্তার ফারাক বুঝে যাওয়ার কথা আপনার। জুভেন্টাস যেখানে রেকর্ড নবমবারের মতো সিরি আ-র শিরোপা ঘরে তুলেছে, সেখানে লিওঁ সপ্তম স্থানে থেকে লিগ মৌসুম শেষ করেছে।

    আর ম্যাচ প্র্যাকটিসের দিক দিয়েও জুভেন্টাস এগিয়ে থাকবে তাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে অনেক আগেই বাতিল হয়ে গেছে ফ্রেঞ্চ লিগ। তাই করোনার দীর্ঘ বিরতির পর এই ম্যাচ দিয়েই আবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মাঠে ফিরছে লিওঁ। অন্যদিকে জুভেন্টাস সিরি আ-র ম্যাচ খেলেছে নিয়মিত। তবে দুই দলই ফর্ম নিয়ে ভুগছে। জুভেন্টাস লিগ জিতলেও সিরি আ-র শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে তারা। আর লিওঁ-ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে।


    জুভেন্টাসের কোচ মাউরিজিও সারি আত্মবিশ্বাসী ম্যাচ নিয়ে, তবে একইসঙ্গে লিওঁ-র দুর্ভেদ্য রক্ষণের কথাও মনে আছে তার, “(এই ম্যাচ জিততে) আমাদের দারুণ পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। লিওঁ সময়ের সাথে অনেক উন্নতি করেছে, তাদের রক্ষণ খুবই মজবুত। এটি কঠিন ম্যাচ হবে, তবে অসম্ভব নয়।”

    আর এই ম্যাচের জন্য সিরি আ-র শেষ ম্যাচে মূল একাদশের অনেক খেলোয়াড়ের মতো ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও বিশ্রাম দিয়েছিলেন সারি। বিশ্রামের পর এই ম্যাচের জন্য রোনালদো সম্পূর্ণ তৈরি বলেই জানালেন এই কোচ, “রোনালদো ঠিকভাবে অনুশীলন করছে। গতকাল অনুশীলনে সে অসাধারণ একটি গোল করেছে। সে কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছিল, তাই সে বিশ্রাম নিয়েছে। তবে এরপরই সে নিজের শতভাগ দিয়ে অনুশীলন করেছে।”

    আর জুভেন্টাসের বিশ্বসেরা স্কোয়াডকে মোটেই ভয় পাচ্ছেন না লিওঁ কোচ গার্সিয়া। তিনি বরং কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর। আর এই স্বপ্ন দেখতেই পারেন গার্সিয়া, কারণ ঘরোয়া লিগে যতটা ভয়ংকর জুভেন্টাস, ইউরোপে ততটাই নিষ্প্রভ তারা। শেষ ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ইউরোপে সাফল্য পেয়েছিল দলটি। গত দুইবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। আর জুভেন্টাসের ইউরোপে ব্যর্থতার ইতিহাস এবং নিজেদের প্রথম লেগের জয়ই এই ম্যাচের আগে লিওঁ-র জন্য উৎসাহ যোগাচ্ছে।

    দলের খবর

    লিওঁ-র বিপক্ষে ম্যাচের জন্য লিগের শেষ ম্যাচে মূল একাদশের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে নামাননি সারি। তাই স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই ফিট হিসেবে পাচ্ছেন তিনি। যদিও ডগলাস কস্তা এবং মাত্তিয়া ডি সিগলিও ঊরুর চোটের কারণে আগেই ছিটকে গেছেন। আর সদ্য সমাপ্ত সিরি আ মৌসুমে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া পাওলো দিবালাও ঊরুর সমস্যার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের জন্য পাওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

    প্রথম লেগে লিওঁ-র জয়ের নায়ক টুসার্ট ধারের মেয়াদ শেষে ফিরে গেছেন জার্মান ক্লাব হার্থা বার্লিনে। আর ইউসুফ কোনে-ও চোটের কারণে এই ম্যাচে মাঠে নামতে পারছেন না। মার্সেলো এবং কেনি তেতে-ও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে পারেন কিনা সেটি দেখার বিষয়। এদিকে প্রথম লেগ মিস করলেও এই ম্যাচে স্কোয়াডে থাকছেন মেমফিস ডিপায়, তাই স্বাভাবিকভাবেই কার্ল তোকো একাম্বিকে একাদশের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

    সম্ভাব্য একাদশ

    জুভেন্টাস

    শেজনি, কুয়াদ্রাদো, বনুচ্চি, ডি লিট, সান্দ্রো, বেনতানকুর, পিয়ানিচ, রাবিওত, বের্নাদেসকি, দিবালা, রোনালদো

    লিওঁ

    লোপেস, ডুবয়স, দেনায়ের, অ্যান্ডারসেন, মার্সাল, আওয়ার, মেন্ডেস, করনেত, রেইন-অ্যাডিলেড, ডিপায়, ডেম্বেলে

    প্রেডিকশন

    জুভেন্টাস ৩ - ০ লিওঁ