• লা লিগা
  • " />

     

    কিক অফের আগে : মেসির শঙ্কা, নাপোলির বিপক্ষে বার্সার অজানা ভয়

    কিক অফের আগে : মেসির শঙ্কা, নাপোলির বিপক্ষে বার্সার অজানা ভয়    

    কবে, কখন
    বার্সেলোনা-নাপোলি
    ন্যু ক্যাম্প
    চ্যাম্পিয়নস লিগ, দ্বিতীয় রাউন্ড, দ্বিতীয় লেগ
    প্রথম লেগের ফল (১-১)

    ৯ আগস্ট, রাত ১.০০


    লা লিগার শেষ দিনে দেওয়া লিওনেল মেসির সতর্কবার্তা কি কানে পৌঁছেছে বার্সেলোনার? এই ২০ দিনে কি তাতে কোনো কিছু পরিবর্তন হয়েছে? নাকি মেসির আশঙ্কাই সত্যি হবে?

    লা লিগায় মৌসুম শেষের ম্যাচের পর মেসি বলেছিলেন, এই খেলা দিয়ে নাপোলিকে হারানো যাবে না। দলের অধিনায়ক যখন এমন বার্তা দিয়ে দেন, তখন আপনার সেটা বিশ্বাস করতেই হবে। নাপোলির সঙ্গে একটি অ্যাওয়ে গোল বার্সেলোনার সঙ্গী। কিন্তু এরপরও স্বস্তি নেই বার্সার। গত বিশ দিনে বার্সা আসলেও বদলাতে পেরেছে কি না সেটাই তো অজানা।

    জুনে ফুটবল আবার ফেরার পর বার্সার ছন্দপতন হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নেপলসে এই দুই দল প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল। তখনও যে বার্সা খুব দাপট দেখিয়েছে তেমনটাও নয়। অ্যান্টোয়ান গ্রিযমানের গোলে হার এড়িয়ে ফিরেছিল কিকে সেতিয়েনের বার্সা। জেনেরো গাত্তুসো দলের দায়িত্ব নেওয়ার আড়াই মাসের মাথায় বার্সার সঙ্গে খেলতে নেমেছিল নাপোলি। সেই নাপোলি এখন আগের চেয়ে অনেকটাই স্থিতিশীল। 

    পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হবে না নাপোলির। লিগে সপ্তম হয়ে শেষ করেছে তারা। তবে কোপা ইতালিয়া জিতে ইউরোপা লিগের জায়গায় নিশ্চিত করেছে নাপোলি। লরেঞ্জো ইনসিনিয়েকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। চোট কাটিয়ে তিনিও দলে ফিরেছেন। ড্রিস মার্টেনস, হোসে মারিয়া কায়েহন, ইনিসিনিয়ের ফ্রন্ট থ্রি বার্সার নড়বড়ে রক্ষণকে ভোগানোরই কথা।

    এই বার্সা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক জানে না। মেসির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বারবার ডুবিয়েছে দলকে। মেসিও এই মৌসুমে অনেকটাই বিবর্ণ। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র দুই গোল করেছেন এবার তিনি। বার্সার ভরসা আরও একবার মেসিই। তবে, সবশেষ ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা বার্সার এতোদিনে অন্তত একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা- একা মেসি দলকে টানতে পারবেন না। সেটা বাস্তবিকও না, সেরকম কিছু ফুটবলে হয়ও না।

    সার্জিও বুস্কেটস এই ম্যাচে নেই। নিষেধাজ্ঞায় খেলা হবে না তার। ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং তার জায়গা নেওয়ার কথা।  আক্রমণে বার্সার সাফল্য নির্ভর করতে পারে ওয়াইড প্লের ওপর। দুই প্রান্ত থেকে দুই ফুলব্যাক মেসিদের যতোখানি বল যোগাতে পারবেন ততই জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে বার্সার। অবশ্য তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কাও আছে। নাপোলি দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে বার্সার রক্ষণ।

    ন্যু ক্যাম্প ইউরোপে বার্সার স্বস্তির জায়গা। শেষ ৩৫ ম্যাচে ঘরের মাঠে হারেনি তারা। গত দুইবার রোমা আর লিভারপুলের কাছে হেরে বাদ পড়ার আগেও ন্যু ক্যাম্পেই দাপট দেখিয়েছিল ব্লউগ্রানারা। ফাঁকা ন্যু ক্যাম্প অবশ্য বাড়তি সুবিধাটা আগের মতো আর দেবে না। বার্সা গত কয়দিনে নিজেদের কতোখানি গুছিয়ে নিতে পেরেছে তার ওপরই নির্ভর করছে অনেককিছু।

    কিকে সেতিয়েনের চ্যাম্পিয়নস অভিজ্ঞতা নাপোলির বিপক্ষে ওই প্রথম লেগের ম্যাচটাই। ফুটবল সম্পর্কে তার পুঁথিগত বিদ্যা লোকমুখে সুনাম কুড়ায় বরাবর। তবে বড় দলে ম্যান ম্যানেজমেন্টও সমান গুরুত্বপূর্ণ। রিয়ালের কাছে ঘরোয়া শিরোপা হারিয়ে বার্সার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। সেখান থেকে ফেরার দারুণ উপলক্ষ্য হতে পারে নাপোলির বিপক্ষে জয়। এরপর তো এক লেগের ম্যাচ, হতে পারে যে কোনোকিছুই!
     

    দলের খবর
    ক্লেমেন্ত ল্যাংলেট দলে ফিরেছেন চোট থেকে, ডি ইয়ংও তাই। মিডফিল্ডারদের ভেতর বার্সার হয়ে এবার সবচেয়ে বেশি গোল করা ভিদালও বুস্কেটসের মতো নিষেধাজ্ঞায়। চোট থেকে ফেরার কতোখানি ম্যাচফিট তা নিয়ে সংশয় আছে। প্রথম লেগে লুইস সুয়ারেজ ছিলেন না চোটের কারণে, এবার আছেন তিনি। বার্সার স্কোয়াডে দুই তরুণ আনসু ফাতি আর রিকি পুজ দুইজনই আছেন। এই দুইজনের কেউ একাদশে সুযোগ পেয়ে গেলে সেটা চমকই হবে। সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না! 

    ইনসিনিয়েকে শুরু থেকেই খেলানোর চেষ্টা করবে নাপোলি। তবে রোমার হয়ে বার্সার বিপক্ষে বিখ্যাত সেই গোল করা কস্তাস মানোলাসকে নিয়ে শঙ্কা আছে। প্রথম লেগ মিস করা কালি কৌলিবালি অবশ্য আছেন রক্ষণে, বার্সার জন্য এবার রক্ষণ ভাঙা তাই আরও কঠিনই হওয়ার কথা।
     

    সম্ভাব্য একাদশ
    বার্সেলোনা

    টের স্টেগান, সেমেদো, পিকে, ল্যাংলেট, আলবা, রবার্তো, ডি ইয়ং, পুজ, মেসি, সুয়ারেজ, গ্রিযমান

    নাপোলি
    অস্পিনা, হিসাজম, ডি লরেঞ্জো, কৌলিবালি, মারিও রুই, রুইজ, ডেমে, জিলেনস্কি, কায়েহন, মার্টেনস, ইনসিনিয়ে

    হেড টু হেড
    চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের বাধা কখনও পার করা হয়নি নাপোলির। আর বার্সা সবশেষ দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়েছিল ২০০৬-০৭ মৌসুমে। ফেব্রুয়ারির প্রথম লেগই ছিল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দুই দলের প্রথম দেখা।

    প্রেডিকশন
    বার্সেলোনা ২-১ নাপোলি