হোটেলবন্দি জীবন, টয়লেটের সামনে আয়না, নিষিদ্ধ জার্সিবদল: যেভাবে বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ
দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ, এবার শুরু চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব। আগের মতো আর দুই লেগের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে থাকছে না, মাঠে থাকছে না দর্শক। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার সত্যিকারের মিনি নকআউট টুর্নামেন্টে নিরপেক্ষ ভেন্যু থেকে শুরু হবে শেষ আটের লড়াই। ১২ দিনের সেই টুর্নামেন্ট শেষে ঠিক হবে এবার ইউরোপের রাজা কে হবে। লিসবনে এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে করোনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতিও বদলে গেছে অনেকটা। একরম বন্দি হয়েই তাই থাকতে হবে মেসিদের।
হোটেলবন্দি ক্লাবগুলো
সব ফুটবলারদের নিজেদের হোটেলের ভেতর থাকতে হবে। বের হতে গেলে অনুমতি নিতে হবে, নিজেদের গ্রুপের বাইরে কারও সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবেন না। হোটেলে ঢোকার জন্যও ফুটবলারদের আলাদা এন্ট্রি থাকবে, খাবার জায়গাও থাকবে আলাদা। খাবার সার্ভ করবে ক্লাবের নিজস্ব স্টাফ। লন্ড্রি বা অন্য কিছুর দায়িত্বও থাকবে তাদের ওপর।
শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনের সুযোগ
p style="text-align:justify">করোনা ভাইরাসের টেস্ট পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে নিয়মিতই করা হবে ফুটবলারদের। এর মধ্যেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দুইজন শনাক্ত হয়েছেন। প্রতি ম্যাচের আগেও পরীক্ষা করা হবে, ম্যাচ শুরুর অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে জানানো হবে। তারপরও একাদশ ঘোষণার আগে যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। কোনো কারণে বেশি খেলোয়াড় আক্রান্ত হয়ে গেলে সেই ম্যাচ পেছানোর কথা ভেবেছে ইউয়েফা। তবে ২৩ আগস্টের ফাইনাল পেছাবে না বলেই জানিয়েছে তারা। সেক্ষেত্রে কোনো ক্লাব খেলতে না পারলে অন্য ক্লাবকে জয়ী ঘোষণা করা হবে।টয়লেটের সামনে আয়না
করোনা-পরীক্ষা পাশাপাশি ফুটবলারদের ডোপ টেস্টও করা হবে নিয়মিত। সাধারণত ডোপ-কন্ট্রোল অফিসাররা খেলোয়াড়দের মূত্র নমুনা সংগ্রহের সময় কাছাকাছি থাকে। তবে এই পরিস্থিতিতে যেহেতু তারা দূরত্ব বজায় রাখবেন, খেলোয়াড়দের ইউরিনালের সামনে আয়না রাখা হবে, যাতে নমুনার সময় কারচুপির সুযোগ কমে যায়।
ডিসইনফেক্টেড ট্রান্সপোর্ট এবং ভিআইপি এক্সিট
ফুটবলারদের প্লেন, বাস থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিবহন বিশেষভাবে ডিসইনফেক্ট করা হবে। বাসের ক্ষেত্রে সামনের দরজা না করে মাঝখানের সেন্ট্রাল ডোর ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ মানুষদের ভীড় এড়িয়ে চলার জন্য ভিআইপি এক্সিট আর এন্ট্রি ব্যবহার করা হবে সবজায়গায়।
জার্সিবদলে ‘না’
লিওনেল মেসির সাথে যারা ম্যাচ শেষে শার্ট বদল করতে চাইছেন, তাদের হতাশ হতে হবে। খেলোয়াড়দের জার্সিবদলে অনুমতি নেই, তবে ম্যাচের আগে ক্লাবগুলোর উপহার বিনিময়ে বাধা নেই।