কাতারি মালিকানায় অবশেষে সেমিফাইনালের দেখা পেল পিএসজি
চ্যাম্পিয়নস লিগের গেরো খুলেছে পিএসজির। ২০১১-১২ মৌসুমে কাতারি মালিকানার অধীনে যাওয়ার পর প্রতি মৌসুমেই ঘরোয়া সাফল্য ধরা দিয়েছে। তবে এতোদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির সেরা সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। এবার সেমিফাইনালে উঠে সেই আক্ষেপ ঘুচেছে প্যারিসিয়ানদের। ম্যাচের পর ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাসের এল খেলাইফিও মোটামুটি আবেগি হয়ে পড়েছেন। আরএমসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "নেইমার আর এমবাপে দুইজনই থাকবে, তারা কোথাও যাবে না!"
কাতারি মালিকানায় যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমে অবশ্য ইউরোপা লিগে খেলছিল পিএসজি। কিন্তু পরের চার মৌসুমেই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ তারা। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে শুরু 'মন্দ কপালের'। নেইমারের বার্সেলোনার কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে সেই ঐতিহাসিক হার। পরেরবার নেইমার গেলেন পিএসজিতে, কিন্তু এবার নেইমারের পুরনো শত্রু রিয়াল মাদ্রিদের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে একই পরিণতি মেনে নিতে হলো পিএসজিকে। দ্বিতীয় লেগে নেইমার নিজেও খেলেননি। চোটে পড়েছিলেন গেল মৌসুমের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচেও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রথম লেগ ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিতেও পরে ঘরের মাঠে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছিল পিএসজি।
নেইমারের আর এবার চোটে পড়েননি। পিএসজিও তাই ছুটছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে নেইমারের গোলেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল পিএসজি। কোয়ার্টারেও আটালান্টার বিপক্ষে ফেরায় নেইমারই নেতৃত্ব দিলেন। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও গেছে নেইমারের কাছেই। যদিও পুরস্কারটা চুপো মটিংকেই দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছিল পিএসজি। এতোদিন পর্যন্ত সেটাই ছিল শেষ চারে পিএসজির একমাত্র অংশগ্রহণ।