• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ভিএআরের দোষ দিয়ে অজুহাত দাঁড় করাতে চান না গার্দিওলা

    ভিএআরের দোষ দিয়ে অজুহাত দাঁড় করাতে চান না গার্দিওলা    

    টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল ম্যানচেস্টার সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনের ভাষায়, "নতুন বছর, পুরোনো ফল।" পেপ গার্দিওলা আর ইউরোপিয়ান শিরোপার দূরত্ব তাই বেড়েছে আরেক দফা। ২০১১ সবশেষ বার্সেলোনার  হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন গার্দিওলা। বায়ার্ন মিউনিখের তিন মৌসুমেও ফাইনালের দেখা পাননি তিনি। আর সিটির হয়ে শেষ চারেই ওঠা হয়নি গার্দিওলার। 

    লিওঁর গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় গোলে ভিএআরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচ শেষে কোনো মন্তব্যই করতে রাজি হননি সিটি কোচ। ওই গোলের বিল্ড আপে আয়মেরিক লাপোর্তেকে ফাউল করা হয়েছিল বলে মত দিয়েছেন অনেকেই। গার্দিওলা সে বিষয়ে এক শব্দও ব্যয় করেননি, তার মতে কিছু বললে সেটা অজুহাতের মতো শোনাবে।


    "আমি অভিযোগ করতে চাই না, কোনো অজুহাতও খুঁজতে চাই না। প্রথম ২৫ মিনিটে আমাদের ছন্দ খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় আপনাকে নিখুঁত হতে হবে। আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম বেশ কিছু, তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা দুই গোল আরও খেয়েছি।"

    "আমরা ম্যাচে ভালো সময়ও পার করেছি। কিন্তু দুই প্রান্তেই অনেক ভুল করেছি। এটা খুবই হতাশার। এখন অবশ্য ছুটি। আমরা চেষ্টা করে যাব, আশা করি একদিন সেমিফাইনালের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব ঘুচবে।" 

    লিঁও বিপক্ষে ৩-৫-২ ফরমেশনে দলকে খেলিয়েছেন গার্দিওলা। এই ফরমেশনের সঙ্গে সিটির খেলোয়াড়রা তেমন একটা পরিচিত নন। থ্রি ম্যান ব্যাকলাইনে খেলেছেন ফার্নান্দিনহোও। বের্নার্দো সিলভা, রিয়াদ মাহরেজ ডেভিড সিলভারাও শুরু করেছেন বেঞ্চে, নেমেছেন অনেক পরে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে চমক জাগানো কৌশল আর খেলোয়াড় বাছাই গার্দিওলার জন্য নতুন কিছু নয়। আরও একটি হারের পর তাই তার কৌশলও প্রশ্নবিদ্ধ।  সিটির হাইডিফেন্সিভ লাইনের ফাঁক ফোকড় কাজে লাগিয়ে লিঁও করেছে দুই গোল।

    এসবকে গার্দিওলা বলছেন তার দলের ভুল, "আমরা আমাদের ভুল শুধরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা দ্বিতিয়বারের মতো ম্যাচে প্রায় সমতায় ফিরতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এরপর স্কোরলাইন ৩-১ হয়ে গেল, আমরা আর কিছুই করতে পারলাম না। এই পর্যায়ে খেলতে গেলে আপনাকে নিখুঁত হতে হবে। আর বিশেষ করে এই ফরম্যাটে তো আরও বেশি।"

    কেভিন ডি ব্রুইনও ভিএআরের দোষ দেখছেন না হারের পেছনে। নিজেদের ভুলগুলোর কথাই বলছেন তিনি। লিওঁর তৃতীয় গোলের আগে রাহিম স্টার্লিংয়ের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়াটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তার কাছেও,  "আমরা দ্বিতীয়ার্ধে  ওদের চাপে ফেলে দিয়েছিলাম। রাহিম ওই গোলটা করতে পারলে ২-২ হত স্কোরলাইন, এরপর ম্যাচ জমে উঠত আবার। উলটো আমরা আবার গোল খেলার এরপর।"

    "আমাদের প্রথমার্ধে রক্ষণে আরও সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। এই মৌসুমটা অনেক লম্বা ছিল, কঠিন এক বছর পার করছি, এখন আসলে বাড়ি ফেরার সময়।"