ডিএলএস মেথডের দিন শেষ, মনে করেন গ্রায়েম স্মিথ
ক্রিকেটে আলোচিত ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) মেথড আইনটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ গ্রায়েম স্মিথ। তার মতে এই আইনের আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই দশক আগে। এখন আইনটি নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার, এর কার্যকারীতা নিয়ে মূল্যায়ণ দরকার বলেও মনে করেন তিনি।
অর্থনৈতিক পরামর্শক নেটওয়ার্ক পিএসজি আয়োজিত এক ওয়েবিনারে (ওয়েব সেমিনার) এই মত প্রকাশ করেন তিনি। মূলত বর্তমান যুগে ক্রিকেটে রান তোলার গতি আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে, বিশেষভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো এখন নিয়মিতই রানের ফোয়ারা ছোটে। আর এই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়েই ডিএলএস আইনটি নিয়ে ভেবে দেখতে বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের ক্রিকেট ডিরেক্টর, “আমার মনে হয় ডিএলএসের সময় ফুরিয়ে গেছে। খেলার স্কোর, মানুষের ভাবনা এবং অর্জনের পরিধির দিক দিয়ে এই আইনের সময় অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বিশেষভাবে টি-টোয়েন্টিতে এটার নতুন করে মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ। টি-টোয়েন্টি খেলা দেখার সময় অনেকবারই আপনার মনে হবে, ‘নাহ, একটা দলের জন্য লক্ষ্য অনেক সহজ হয়ে গেছে’ অথবা ‘ডিএলএস সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।’ আধুনিক যুগের খেলা অনেক এগিয়ে গেছে, তবে ডিএলএস এখনো নব্বইয়ের দশক অথবা নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে পড়ে আছে।”
২০০৩ বিশ্বকাপে ডিএল মেথডের ভুল হিসাব করে বাদ পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা
তবে স্মিথ এটা ছাড়া ক্রিকেটের আর কোনো পরিবর্তনের ওপর জোর দেননি। কারণ তার মতে, ক্রিকেট এমনিতেই খুবই জটিল একটি খেলা, “ক্রিকেট অনেক জটিল হতে পারে। এটা টেকনিক্যাল খেলা, তাই আইনগুলোকে সহজ রাখলেই খেলার সুবিধা হবে। আপনি নতুন কাউকে খেলাটার বিষয়ে বলতে গেলেই জবাব আসবে, এটা তো অনেক টেকনিক্যালিটির খেলা।”
ক্রিকেটের জটিলতা নিয়ে মাথা কুটে মরলেও স্মিথ নিজেই কিন্তু কিছুদিন আগে দুর্বোধ্য এক ফরম্যাটের জন্ম দিয়েছেন। স্মিথসহ আরও কয়েকজন মিলে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ৩ দলের ৩৬ ওভারের নতুন ফরম্যাট আবিষ্কার করেছেন। স্মিথের ভাষ্য অনুযায়ী, ওয়ানডে ক্রিকেট আরও আকর্ষণীয় করতেই নতুন ফরম্যাট নিয়ে এসেছিলেন তারা, “ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ কিছু স্লো প্যাচ রয়েছে, মাঝে মাঝেই খেলা খুবই ধীরগতির হয়ে যায়। আর সেজন্যই আমরা নতুন ফরম্যাট নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। এটা খেলার একটি নতুন সংস্করণ। এই ফরম্যাটের মাধ্যমে আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, কীভাবে ওয়ানডের স্লো অংশগুলোকে পাশ কাটানো যায়, কীভাবে এটাকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করা যায়, কীভাবে তিন দলের দর্শকদের একসাথে মাঠে আনা যায়।”