চার বছর আগের দুঃখ ভুলল বাংলাদেশ
চার বছর আগের এক দিন আবার ফিরে এলো যেনো মিরপুরে। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ বলে ৯ রান। সেবার বাংলাদেশ ডুবেছিল অনন্ত বিষাদে। সেই মার্চেই আবার পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ, সেই এশিয়া কাপে। সেই স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা ফিরে এলো আবার। তবে এবার আর হতাশা নয়, পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ। ১৩০ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে পাঁচ বল হাতে রেখেই, চলে গেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে এই নিয়ে পাকিস্তানকে টানা পাঁচ ম্যাচে হারালো বাংলাদেশ।
জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ, কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সাকিব আর মুশফিক কয়েক ওভারের মধ্যে আউট হয়ে কঠিন হয়ে গেল পরিস্থিতি। মোহাম্মদ আমির যখন সাকিবকে বোল্ড করে দিলেন, মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েই গেছে। কিন্তু মাশরাফি পর পর দুই বলে চার মেরে আবার জাগিয়ে তুললেন আশা।
নন স্ট্রাইক এন্ডের অন্যজন যেন মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন, শেষ পর্যন্ত জয়টা তাঁর হাত ধরেই আসবে। বাংলাদেশের অসংখ্য জয়ে পার্শ্বনায়ক হয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ মাহমুদউল্লাহ আসল নায়ক। ১৫ বলে ২২ রান করে পাঁচ বল বাকি থাকতেই দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন। মাশরাফি হয়তো অনেকবারই জিতিয়েছেন, কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় ৭ বলে ১২ রানের ইনিংসটা ওপরের দিকেই থাকবে।
তার আগে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন সৌম্য সরকার। সেই জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এসেছিল সর্বশেষ ফিফটি। এর পর থেকে চোট আর ফর্মহীনতায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন সৌম্য সরকার। ফর্মে ফেরার জন্য এর চেয়ে ভালো উপলক্ষ আর কিছু হতে পারত না। টি-টোয়েন্টিতে এতোদিন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৪৩ রান ছিল তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। আজ সেটি ছাড়িয়ে গেলেন, দুই রানের জন্য পাননি টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি।