• এশিয়া কাপ ২০১৬
  • " />

     

    ঝড় বয়ে যাচ্ছে আফ্রিদিদের ওপর

    ঝড় বয়ে যাচ্ছে আফ্রিদিদের ওপর    

    বাংলাদেশের কাছে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়েছে পাকিস্তানের। অধিনায়ক আফ্রিদির এক একটি পরিকল্পনা পরাস্ত হয়েছে টাইগার দলনায়কের রণকৌশলের সামনে। গত ১০ টি-২০ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে আফ্রিদি-হাফিজরা। দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ব্যাটসম্যান ও অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুললেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।

     

    পাকিস্তান অধিনায়ক বেশ কিছুদিন ধরেই অবদান রাখতে পারেন নি ব্যাট কিংবা বল কোনোটিতেই। অফ ফর্মে থাকা আফ্রিদির কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ, “কীভাবে আপনি এমন একজন খেলোয়াড়কে দলে রাখতে পারেন যে কিনা কেমন খেলবে সেটাই কারো জানা নেই। পাকিস্তান দলে আফ্রিদির জায়গা কয়েক বছর আগে ছিল। সে তো কয়েক বছর আগেই পারফর্ম করা থেকে দূরে সরে আছে। তাঁকে দলে রেখে জয় কিংবা দলের উন্নতি কিভাবে সম্ভব? তাও আবার সেই লোক যখন দলের অধিনায়ক!”

     

    জাভেদ মিয়াঁদাদের মতে যতদিন পর্যন্ত দলে স্বজনপ্রীতি চলবে ততদিন পাকিস্তান ক্রিকেট আর অধঃপতনের দিকেই যাবে। তাছাড়া পাকিস্তানের সাবেক এই কোচ ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, “ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো সেই পক্ষপাতিত্বের মধ্যে ঘিরে আছে। এমনকি জেলা পর্যায়েও একই অবস্থা। বাইরে থেকে টুর্নামেন্টগুলো অনেক দারুণ দেখায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখান থেকে ভালো মানের কোন খেলোয়াড়ই উঠে আসছে না।”

     

    এদিকে টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক দলের ব্যর্থতার জন্যে দায় করেছেন ব্যাটসম্যানদেরকে, “আমাদের বোলাররা আবারো ভালো করেছে। কিন্তু, ব্যাটসম্যানরা হাল ধরতে পারে নি। যেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে নির্বাচকরা তাঁকেই সুযোগ দিয়েছে। তাঁরা আর কি-ই বা করতে পারে।” তাছাড়া মালিককে আরো বেশি ওভার না করানোয় মিসবাহ ও আজমল দু’জনেই বেশ অবাক হয়েছেন।

     

    অন্যদিকে সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ আফ্রিদিকে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো একবার ভাবার জন্যেই পরামর্শ দিলেন। ইউসুফের সুরে সুর মেলালেন সাবেক ক্রিকেটার সরফরাজ নওয়াজ, “আমরা যথেষ্ট অজুহাত শুনেছি। কিন্তু, অধিনায়ক পারফর্ম না করলে সে আরেকজনকে কিভাবে অন্যদের প্রশ্ন করবে বা টেনে তুলবে? এটাই সঠিক সময়, পিসিবি’র আফ্রিদিকে সরে যেতে বলা উচিত। এবং বিশ্বকাপে তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত।”