• লা লিগা
  • " />

     

    আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন বার্তোমেউ

    আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন বার্তোমেউ    

    আস্থা ভোটের সম্মুখীন হচ্ছেন বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। লিওনেল মেসি ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠানোর পরদিনই বার্তোমেউর বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের জন্য কাজ শুরু করে একটি সংগঠন। তারা আস্থা ভোটের জন্য ক্লাব সদস্যদের নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর জোগাড় করতে পারায় আগামী তিনমাসের মধ্যে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন বার্তোমেউ।

    বর্তমানে বার্সেলোনার সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র হচ্ছেন ক্লাব সভাপতি বার্তোমেউ। অব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনাহীনতাসহ তার অনেক সিদ্ধান্তের কারণে ক্লাব সমর্থকদের একটি বড় অংশ তাকে আর সভাপতি পদে দেখতে চাইছেন না। এমনকি মেসির দলবদলের বিষয়টিকেও অনেক জটিল করে তুলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে গোল.কমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বার্তোমেউ এবং তার প্রশাসনকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন মেসি। বার্তোমেউর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগও করেছিলেন ক্লাব অধিনায়ক।


    তবে এতকিছুর পরও ক্লাবে নিজের পদ ছাড়েননি তিনি। মার্চে সভাপতি পদে পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই পদ আঁকড়ে থাকতে চান তিনি। তবে আস্থা ভোটের কারণে তার সেই ইচ্ছাপূরণ নাও হতে পারে। আস্থা ভোটের দাবী যারা তুলেছেন, তাদের আস্থা ভোট করার জন্য সাড়ে ১৬ হাজার ক্লাব সদস্যের স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। তারা এখন পর্যন্ত ২০,৭৩১ জনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এতে করে আগামী তিন মাসের মধ্যে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে আস্থা ভোট হবে। আর সেখানে ভোট দেবেন বার্সেলোনার ১ লাখ ৫৪ হাজার সদস্য। মোট ভোটের ৬৬ দশমিক ৫ ভাগ যদি তার বিরুদ্ধে আসে, তাহলে নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই পদ হারাবেন তিনি।

    ২০১৭ সালেও একবার বার্তোমেউর বিরুদ্ধে আস্থা ভোট আয়োজনের চেষ্টা হয়েছিল। তবে সেবার সভাপতি পদপ্রার্থী আগুস্তি বেনেদিতো প্রয়োজনীয় ১৬,৫৭০ টি স্বাক্ষর যোগার করতে পারেননি। নেইমারের ট্যাক্স মামলা, সাবেক বার্সা প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রাসেলের আটক হওয়া এবং মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে সেবার আস্থা ভোট করতে চেয়েছিলেন বেনেদিতো।

    বার্তোমেউর আগে মাত্র দুজন বার্সা সভাপতি আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে লুইস নুনেজ এবং ২০০৮ সালে হোয়ান লাপোর্তার বিরুদ্ধেও আস্থা ভোট হয়েছিল। তারা দুজনই অবশ্য আস্থা ভোটে উতরে গিয়েছিলেন। তবে ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বার্তোমেউর ওপর সমর্থকদের ক্ষোভ পর্যালোচনা করলে যে চিত্র সামনে আসে তাতে বার্তোমেউর উতরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই বলা যায়।