ইউয়েফার বর্ষসেরা তিনে লেভানডফস্কি-নয়্যারের সাথে ডি ব্রুইন
নয়বারের মধ্যে পাঁচবারই পুরস্কারটা পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বা লিওনেল মেসি। যে কয়বার তারা পাননি, সেবারও দুজনের একজন অন্তত শীর্ষ তিনে ছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম ইউয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের শীর্ষ তিনে নেই মেসি-রোনালদোর কেউ। বায়ার্নের রবার্ট লেভানডফস্কি ও ম্যানুয়েল নয়্যারের সাথে শীর্ষ তিনে জায়গা পেয়েছেন ম্যান সিটির কেভিন ডি ব্রুইন।
দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন লেভানডফস্কি আর নয়্যার দুজনেই। বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগা জেতার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন। লেভানডফস্কি এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে করেছেন ৪৭ ম্যাচে ৫৫ গোল, নয়্যার চ্যাম্পিয়নস লিগে রেখেছেন ছয়টি ক্লিন শিট। ডি ব্রুইনও কাটিয়েছেন দারুণ একটা মৌসুম, সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ জেতাতে না পারলেও হয়েছেন পিএফএ বর্ষসেরা ফুটবলার।
এই তিনজনের পর ৫৩ ভোট নিয়ে যৌথভাবে চারে মেসি ও নেইমার। এরপর মুলার (৪১), এমবাপ্পে (৩৯), থিয়াগো আলকানতারা (২৭), জশুয়া কিমিখের (২৬) পর ২৫ ভোট নিয়ে দশম রোনালদো।
ইউরোপে খেলা ৮০টি ক্লাবের কোচ ও ৫৫ জন সাংবাদিকদের ভোটে নির্ধারিত হয় এই পুরস্কার। সেরা ফুটবলারের পাশাপাশি সেরা কোচের শীর্ষ তিনে আছেন বায়ার্নের শিরোপাজয়ী হান্স ফ্লিক, লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ ও লাইপজিগের জুলিয়ান নাগেলসমান। সেরা গোলকিপারের শীর্ষ তিনে আছেন কেইলর নাভাস, ম্যানুয়েল নয়্যার ও ইয়ান অবলাক। ডিফেন্ডারদের সেরা তিনে ডেভিড আলাবা, আলফনসো ডেভিস ও কিমিখ তিন জনই বায়ার্নের। সেরা তিন মিডফিল্ডারের মধ্যে ডি ব্রুইন ছাড়া আছেন মুলার ও থিয়াগো। আর এমবাপ্পে, লেভানডফস্কি ও নেইমার আছেন সেরা তিন ফরোয়ার্ডে।