• লা লিগা
  • " />

     

    'একসঙ্গে রিয়াল আর ভিএআরের বিপক্ষে লড়াই করা মুশকিল'

    'একসঙ্গে রিয়াল আর ভিএআরের বিপক্ষে লড়াই করা মুশকিল'    

    রিয়াল বেতিস কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি হতাশ। প্রতিপক্ষ একে তো রিয়াল মাদ্রিদ, তার ওপর ভিআরের সিদ্ধান্ত নিয়েও অসন্তুষ্টি আছে তার। সেকারণে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত রিয়ালের কাছে ৩-২ গোলে হারতে হয়েছে তার দল বেতিসকে। সে কারণেই ক্ষোভ থেকে বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ আর ভিএআরকে হারানোটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল’।

    বেটিস পুরো ম্যাচে রিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলেছে, কখনো কখনো ফাইনাল থার্ডে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত পাসিং চ্যাম্পিয়নদেরও ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুটি ঘটনা ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাদের। প্রথমটি হচ্ছে ৬৭ মিনিটে রাইটব্যাক এমারসনের লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ৮২ মিনিটে পেনাল্টি। দুটি সিদ্ধান্তই দীর্ঘ ভিএআর চেকের পর নেওয়া হয়েছে।


    ৬৭ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে লুকা ইয়োভিচকে পেছন থেকে ট্যাকল করেছিলেন এমারসন। বাজে ট্যাকল না হলেও গোলের সরাসরি সুযোগ অবৈধভাবে রুখে দেওয়ায় লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। আর পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হচ্ছে। মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড বোরয়া মায়োরালের কাছে বল যাওয়া ঠেকাতে গিয়ে বেটিস ডিফেন্ডার মার্ক বার্ত্রার হাতে ছুঁয়ে যায় বল। সেখানেও ভিএআর চেক হয়। আর এই সিদ্ধান্তগুলো পক্ষে না আসাতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বেটিস।

    ম্যাচ শেষে এই বিষয়টি নিয়েই হতাশা ঝরে পড়ল পেলেগ্রিনির কণ্ঠে, “একসঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ভিএআরের সঙ্গে লড়াই করাটা মুশকিল। আমরা প্রথমার্ধে রিয়ালের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছি। দুটি গোল করেছি, আর তিনটি ভালো সুযোগও তৈরি করেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধেও সমান তালে লড়াই করেছি, তবে এরপরই লাল কার্ড, পেনাল্টি ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। এতটা সময় একজন কম নিয়ে খেলা কঠিন ছিল।”

    আর রেফারিরা মাদ্রিদকে সুবিধা দেন, এমন অভিযোগ আরও একবার এড়িয়ে গেছেন জিনেদিন জিদান, “এখানে রেফারি আছে, তার কাজ হচ্ছে খেলার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা। আজকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ন্যায্য ছিল।”