• লা লিগা
  • " />

     

    পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্টি খুঁজল বার্সা-সেভিয়া

    পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্টি খুঁজল বার্সা-সেভিয়া    

    ফুলটাইম
    বার্সেলোনা ১-১ সেভিয়া


    লা লিগার বাকি ১৮ দলই পয়েন্ট হারিয়েছিল। বাকি ছিল এই দুই দল। মুখোমুখি লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাকিদের সঙ্গে যোগ দিল বার্সেলোনা আর সেভিয়াও। ন্যু ক্যাম্পে কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার ম্যাচে দুই গোলই হয়েছে ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটের ভেতর। এরপর আর কেউ গোলের দেখা পায়নি। দিনশেষে ড্র নিয়ে কোনো দলেরই খুব বেশি আফসোসও থাকার কথা নয়।

    ন্যু ক্যাম্পে দারুণ শুরু করেছিল সেভিয়া। ম্যাচের ৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর গোল খেয়ে বসে বার্সা। লুক ডি ইয়ংয়ের বাম পায়ের জোরালো শট গিয়ে তখন জড়ায় বার্সার জালে। গোলের সামনে থাকা নেতোর তেমন কিছুই করার ছিল না। কিন্তু শুরুর ধাক্কাও সামাল দিতে সময়ও নেয়নি বার্সা। মিডফিল্ড থেকে লিওনেল মেসির বাড়ানো বল সেভিয়া ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফিলিপ কৌতিনহোর পায়ে ঠেলে দিয়েছিলেন। বক্সের ভেতর থেকে বাকি কাজ সেরেছেন ব্রাজিলিয়ান।


    প্রথমার্ধে অবশ্য সেভিয়ার চেয়ে বল পজেশন পিছিয়েই থাকতে হয়েছে বার্সা। তবে একটা ব্যাপার বার্সার জন্য আশাজাগানিয়া। সেভিয়ার হাইপ্রেস সামাল দিতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি বার্সাকে। বার্সার রক্ষ্ণের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে তাতে।

    প্রথমার্ধে এরপর দুই দলই একটি করে দারুণ সুযোগ পেয়েছে। সেভিয়ার ফার্নান্দো ডান দিক থেকে আসা ক্রসে গোলের সামনে থেকে পা ছোঁয়াতে পারলে আরেকবার পিছিয়ে যেতে হত বার্সাকে। আবার আন্টোয়ান গ্রিযমান আনসু ফাতির কাছ থেকে বল পেয়ে ওয়ান অন ওয়ানে আরেকটু ভালো করতে পারলে হয়ত এগিয়ে যেতে পার বার্সাও।

    রোনাল্ড কোমান সেভিয়ার বিপক্ষে একটি পরিবর্তন এনেছিলেন। সেটাও আনতে হয়েছিল বলেই। আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না ক্লেমেন্ত ল্যাংলেট। তার জায়গায় নেমেছিলেন রোনাল্ড আরাউহো। তরুণ ডিফেন্ডার দারুণ খেলেছেন। তবে তার কপালটা মন্দ হতে পারত দ্বিতীয়ার্ধে। আত্মঘাতী গোলের হাত থেকে বেঁচে গেছেন তিনি। সেভিয়ার আক্রমণ তখন আরাউহোর গায়ে লেগে বারপোস্টে প্রতিহত হয়েছে।

    এসবের আগে ম্যাচের সময় ঘন্টা পেরুনোর পর দুই কোচই দুইটি করে পরিবর্তন এনেছিলেন একসঙ্গে। গ্রিযমান টানা তৃতীয় ম্যাচে বদলি হয়েছেন, ফাতি মাঠ ছেড়েছেন তার সঙ্গে। তবে বার্সার চেয়ে সেভিয়ার বদলিগুলোই কাজে দিচ্ছিল বেশি। ৮০ মিনিটের আগ পর্যন্ত এরপর বেশ কয়েকবার বার্সার রক্ষণে ভীতি ছড়িয়ে গেছে সেভিয়া।

    প্রথমার্ধে কৌতিনহোও ছিলেন আগের দুই ম্যাচের মতোই সপ্রতিভভ। ৭৫ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনিও। জর্দি আলবার চোটও কিছুটা বিপদে ফেলেছিল কোমানকে। তবে অভিষেকে সার্জিনো ডেস্ট মিনিট বিশেক যা খেলেছেন তাতে আশাবাদী হতে পারেন বার্সা কোচ। আলবার ফেলে যাওয়া জায়গায় একেবারে মন্দ করেননি তিনি।  

    আক্রমণভাগে এদিন ফাতি, গ্রিযমান বা মেসি কেউই তেমন একটা ছন্দে ছিলেন না। গ্রিযমান দ্বিতীয়ার্ধেও একটি সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননিন। ফাতি আগের দুই ম্যাচের মতো নিখুঁত হতে পারেননি। মেসি পুরো ম্যাচই খেলেছেন। তবে নিজের প্রিয় প্রতিপক্ষ সেভিয়ার বিপক্ষে প্রভাব রাখতে পারেননি তেমন। ৮০ মিনিটে ডেস্টের পাস থেকে গোলে শট করেছিলেন একবার, তবে নতুন মৌসুমে ওপেন প্লে থেকে গোল না পাওয়ার অপেক্ষা কাটাতে পারেননি মেসি।

    ম্যাচের একেবারে শেষদিকে নাটক খানিকটা জমে উঠেছিল। বদলি সার্জিও ট্রিনকাওয়ের শট যোগ করা সময়ে সেভিয়া গোলরক্ষক বনু ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে বাঁচিয়ে দেন। মেসিও মিনিট দুই বাদে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন বল নিয়ে। সেভিয়া ডিফেন্ডার তখন দারুণ এক ট্যাকেলে বাঁচিয়েছেন দলকে। যদিও দলকে ডোবাতেও পারতেন তিনি। বার্সাও পেনাল্টির আবেদন করেনি, রেফারি বা ভিএআরও তাতে সাড়া দেয়নি। পেনাল্টি দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না সেই ঘটনায়।

    শেষ পর্যন্ত দারুণভাবে শুরু হওয়া ম্যাচ শেষ হয়েছে দুই দলকেই খুশি বা অখুশি করে।