• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    মেসির গোলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করল আর্জেন্টিনা

    মেসির গোলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করল আর্জেন্টিনা    

    ফুলটাইম
    আর্জেন্টিনা ১-০ ইকুয়েডর


    কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার শুরুটা হলো জয় দিয়ে। সেই জয়টাও এলো লিওনেল মেসির একমাত্র গোলেই। ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লা বোম্বোনেরার ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে ওই গোলেই।


    বক্সের ভেতর ডানদিকে ঢুকে পড়া লুকাস ওকাম্পোসকে ফাউল করে বসেছিলেন এস্তুপিনান। পরে সেখান থেকেই পেনাল্টি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। স্পট কিক থেকে জোরালো শটে ডানদিকে বল জড়িয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের ৭১তম গোল পেয়ে যান তখন মেসি। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে মেসির সামনে আছেন কেবল পেলে। ফুটবল কিংবদন্তির আন্তজার্তিক গোল ৭৭। পেলের সেই রেকর্ড ছুঁতে মেসির দরকার আর মাত্র ৬ গোল।

    শুরুটা দারুণ হলেও এরপর আর খেলায় আর্জেন্টিনার ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বারবার বলের দেখা পেলেও বল পজেশন রাখতে পুরো ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পল ছিলেন ধারাবাহিক, তবে লিয়ান্দ্রো পারেদেস প্রথমার্ধে হতাশই করেছেন। চোটে পড়া জিওভানি লো সেলসোর জায়গায় খেলতে নামা মার্কোস আকুনিয়াও বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত রক্ষণেই বেশি মনোযোগ ছিলেন। তাই লাউতারো মার্টিনেজ, ওকাম্পোস আর মেসির আক্রমণভাগে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

    ইকুয়েডরের বিপক্ষে অনুমিত একাদশটাই মাঠে নামিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবে গোলবার পাহারায় ফ্রাঙ্কো আর্মানিকে রেখেছিলেন তিনি, একাদশে চমক ছিল সেটিই। এমিলানো মার্টিনেজের নামটা ম্যাচের আগে জোরেসোরে শোনা গেলেও তার অভিষেক হয়নি এই ম্যাচেও। যদিও আর্মানিকেও খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি। কোনোরকম পরীক্ষা না দিয়েই আরও এক ম্যাচ উতরে গেছেন রিভার প্লেট গোলরক্ষক।


    প্রথমার্ধে ইকুয়েডর দুই-একবার বিপদের ইঙ্গিত দিলেও ফাইনাল থার্ডে তারা ছিল একেবারেই নিষ্ক্রিয়। তাতে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অবশ্য নিকোলাস অটামেন্ডির দারুণ এক প্রচেষ্টা গোলে পরিণত হলে ব্যবধান বাড়াতে পারত আর্জেন্টিনা। তখন ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেক্সান্ডার ডমিঙ্গুয়েজ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে প্রতিহত করেছেন অটামেন্ডিকে। দ্বিতীয়ার্ধে এই একটি ছাড়া বলার মতো আক্রমণ আর নেই আর্জেন্টিনারও।

    শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে দলেই ছিলেন না পাউলো দিবালা। স্কালোনি এদুয়ার্দো সালভিও, লুকাস আলারিওদের মাঠে নামিয়ে আক্রমণে পরিবর্তন আনা শুরু করেছিলেন ৬৬ মিনিটের পর থেকে। কিন্তু তাতেও আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ আর ধারালো হয়নি। প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচের হিসেবে হয়ত পার হয়ে যাবে। তবে গুছিয়ে নেওয়ার সময় অল্পই পাচ্ছেন স্কালোনি। আগামী বুধবার লা পাজে বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ বলিভিয়া। যে মাঠে আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক রেকর্ড মোটেই সুবিধার নয়।

    এর আগে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু হয়েছিল উরুগুয়ে-চিলি ম্যাচ দিয়ে। ঘরের মাঠে যোগ করা সময়ে ম্যাক্সি গোমেজের গোলে উরুগুয়ে সেই ম্যাচ জিতেছে ২-১ গোলে। পেনাল্টি থেকে লুইস সুয়ারেজ প্রথমার্ধে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। পরে ৫৪ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানচেজ গোল শোধ করেছিলেন চিলির হয়ে।

    দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে তাই এখনও সমানে সমান থেকে গেলেন মেসি আর সুয়ারেজ। দুইজনেরই বাছাই পর্বে গোল ২২। এই অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এই দুইজনের চেয়ে বেশি গোল নেই আর কারও।

    আর্জেন্টিনা একাদশ
    ফ্রাঙ্কো আর্মানি, মন্তিয়েল, লুকাস মার্টিনেজ, ওটামেন্ডি, টালিয়াফিকো, ডি পল, পারেদেস, আকুনিয়া, মেসি, লাউতারো, ওকাম্পোস

    ইকুয়েডর একাদশ
    ডমিঙ্গেজ, ফেরিগা, আরিয়েগা, আরবোলেদা, এস্তুপিনান, গ্রুয়েজো, ফ্রাঙ্কো, কাইসেদো, মেনা, ভ্যালেন্সিয়া, ইবারা