১৫ বছর পর বৈরি বলিভিয়া জয় করল আর্জেন্টিনা
ফুলটাইম
বলিভিয়া ১-২ আর্জেন্টিনা
অবশেষে বৈরি বলিভিয়াকে জয় করলো আর্জেন্টিনা। লা পাজ থেকে লিওনেল স্কালোনির দল জয় নিয়ে ফিরল ১৫ বছর পর! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার লা পাজে অবশ্য আর্জেন্টিনার শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। এই মাঠের রীতি ধরে রেখে আরও একবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েছিল বলিভিয়া। কিন্তু দুই অর্ধে দুই গোল দিয়ে সেখান থেকে ফিরে এসে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্কালোনির দল।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে মার্সেলো মার্টিনস হেডে গোল করে বলিভিয়াকে এগিয়ে নেন। আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই খেলছিল এলোমেলো। বলিভিয়ার গোল পর্যন্ত পৌঁছাতেও ধুঁকতে হচ্ছিল লিওনেল মেসিদের। বিরতির ঠিক আগে আর্জেন্টিনার কপাল খুলে যায় বলিভিয়ার এক ভুলে, আর লাউতারো মার্টিনেজ পেয়ে যান অদ্ভুত এক গোল। বল নিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন মার্টিনেজ। কিন্তু গোলে শট করতে পারেননি তিনি। বলিভিয়া ডিফেন্ডার হুয়ান কারাস্কো বল ক্লিয়ার করতে শট করেছিলেন, কিন্তু সেটাই মার্টিনেজের গায়ে লেগে ঢুকে যায় বলিভিয়ার জালে।
মার্টিনেজের ওই গোল ছেদ টেনেছে আর্জেন্টিনার অস্বস্তির এক রেকর্ডের। গত চারবছর ধরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মেসি বাদে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করতে পারেননি কেউ। মার্টিনেজের গোলে দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে আর্জেন্টিনার।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বলিভিয়াকে আর আক্রমণে তেমন একটা সুযোগ দেয়নি আর্জেন্টিনা। দুই একবার আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করলেও ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে বলিভিয়া। ফ্রাঙ্কো আর্মানির জন্য প্রথমার্ধে কঠিন গেলেও, পরের অর্ধে তিনি ছিলেন স্বস্তিতেই।
বিরতির পর বেশিরভাগ সময়টাতেই বৈরি আবহাওয়ার বিপক্ষে আক্রমণ সাজানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল লা আলবিসেলস্তেরা। ৭৫ মিনিটে মেসির পাস থেকে মার্টিনেজ বক্সের ভেতর ঢুকে দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন। তার শট ঠেকিয়ে দেন বলিভিয়া গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পে। ৭৯ মিনিটে পরে মেসিই আরেকবার খুঁজে নিয়ে ছিলেন মার্টিনেজকে। এবার ডান প্রান্ত থেকে তিনি থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন তার উদ্দেশ্যে। এরপর মার্টিনেজের পাস বক্সের ভেতর বাম প্রান্তে খুঁজে পায় বদলি হোয়াকেন কোরেয়াকে। পছন্দের বাম পায়ে এরপর আড়াআড়ি নিখুঁত শটে গোল করে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে নেন লাৎসিও ফরোয়ার্ড।
২০০৫ সালে সবশেষ যেবার লা পাজে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছিল সেবার সেই দলে ছিলেন স্কালোনি। ১৫ বছর পর যখন আর্জেন্টিনার ডাগআউটের দায়িত্বে, তখন তার হাত ধরেই সেই মাঠে বহু প্রতীক্ষিত জয়টা পেল আর্জেন্টিনা। বাছাই পর্বের দুই ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনাও পেল পূর্ণ ৬ পয়েন্ট।
বলিভিয়া
লাম্পে, ভালভার্দে, জেসুস সাগ্রেদো, হোসে সাগ্রেদো, কারাসকো, তোরেস, ওয়ায়ার, কার্দোজো, রাউল কাস্ত্রো, চুমাকেরো, সাউসেদো, মরেনো
আর্জেন্টিনা
ফ্রাঙ্কো আর্মানি, মন্তিয়েল, লুকাস মার্টিনেজ, ওটামেন্ডি, টালিয়াফিকো, ডি পল, পারেদেস, পালাসিওস, মেসি, লাউতারো, ওকাম্পোস