নেইমারের হ্যাটট্রিকে পেরু বাধা পেরুলো ব্রাজিল
ফুল টাইম
পেরু ২ - ৪ ব্রাজিল
নেইমারের হ্যাটট্রিকে পেরু বাধা পার হল ব্রাজিল। দলটির ডাগআউটে কোচ তিতের পঞ্চাশতম ম্যাচে জয়টা আসল নাটকীয় ভঙ্গিতে। দুইবার পিছিয়ে পরেও শেষ পর্যন্ত নেইমারের হ্যাটট্রিক এবং রিচার্লিসনের এক গোলে জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে সেলেসাওরা। বলিভিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ফর্ম এই ম্যাচেও টেনে এনেছেন নেইমার। ব্রাজিলের আক্রমণের মধ্যমণি হয়ে থাকা নেইমার ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছেন। তাকে ঠিকঠাক সামাল দিতে না পেরে দুটি পেনাল্টিও উপহার দিতে বাধ্য হয় পেরু। আর সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্রাজিলকে জয় এনে দিয়েছেন নেইমার।
দারুণ এক হ্যাটট্রিকে নেইমার ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি রোনালদোকেও। ব্রাজিলের ইতিহাসে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। রোনালদোর ৬২ গোলের রেকর্ড পেছনে ফেলে নেইমারের গোল এখন ৬৪। আর সামনে থাকা পেলের গোল ৭৭।
পেরুর এস্তাদিও নাসিওনাল দে লিমায় মাত্র ছয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বক্সের বাইরে দুর্দান্ত এক ভলিতে ব্রাজিল গোলরক্ষক ওয়েভারটনকে পরাস্ত করেন পেরুর আন্দ্রে কারিলো। আর পেরুর বিপক্ষে শেষ মোকাবিলায় হেরে যাওয়া ব্রাজিলের এই গোল শোধ দিতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে।
২৮ মিনিটে বক্সের ভেতর পেরুর এক খেলোয়াড়ের নেইমারকে রুখতে গিয়ে তার জার্সি ধরে তান দেওয়ায় ব্রাজিলকে পেনাল্টি দিয়ে দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় নিয়ে আসেন নেইমার।
প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় দুই দলের কেউই আর কোনো গোল পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আবারও প্রথমার্ধের মতো চিত্র, শুরুতে গোল করে বসে স্বাগতিক পেরু। ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রেনাতো তাপিয়ার শট ডিফ্লেক্ট হয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচে আবারও এগিয়ে যায় রিকার্ডো গারেচার দল। তবে এবার তাদের লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
৬৪ মিনিটে কর্নার থেকে রবার্ত ফিরমিনোর ব্যাক পোস্ট হেডার থেকে ট্যাপ-ইন ফিনিশে বল জালে জড়িয়ে ব্রাজিলকে আবারও সমতায় ফেরান এভারটনের রিচার্লিসন। আর ৮৩ মিনিটে আবারও নেইমারকে বক্সের ভেতর ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি নেইমার। প্রথম পেনাল্টির মতো দ্বিতীয়টিও নিখুঁতভাবে জালে জড়িয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আর যোগ করা সময়ে এভারটনের শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসার পর ফিরতি শটে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে বল জালে পাঠিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নেইমার। আর ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়া ব্রাজিলও তাতে সম্মানজনক একটা স্কোরলাইনে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ ৯ গোল করেছে। আর নেইমার দুই ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। গত ম্যাচে বলিভিয়ার পিঠের চোটের কারণে খেলবেন কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা থাকার পরও মাঠে নেমে দুই অ্যাসিস্ট এবং রেকর্ড ১৮ টি ড্রিবল সম্পন্ন করেছিলেন। এই ম্যাচেও নয়বার ড্রিবলের চেষ্টা করে আটবারই সফল হয়েছেন। আর তার হ্যাটট্রিকেই স্মরণীয় হয়ে থেকেছে ব্রাজিলের ডাগআউটে তিতের ৫০ তম ম্যাচ।