• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    দর্শক ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগে: রেনে, লাইপজিগ এবং সৌভাগ্যবান আরও যেসব ক্লাব...

    দর্শক ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগে: রেনে, লাইপজিগ এবং সৌভাগ্যবান আরও যেসব ক্লাব...    

    ইউরোপিয়ান ফুটবলে ‘সুপার ক্লাব’ এবং উঠতি ক্লাবগুলোর মাঝে অসমতার বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার ইউরোপিয়ান ফুটবলে ‘অন্যরকম’ অসমতা দেখা যাবে। কারণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতি একেকরকম, জনসমাগমের বিধিনিষেধও তাই কিছু দেশে বেশি আবার কিছু দেশে নেই বললেই চলে। তাই আজ রাত থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগে কিছু দল ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শকদের সামনে খেলার সুযোগ পাবে। আর কিছু দলকে দর্শকবিহীন মাঠেই খেলে যেতে হবে। প্রথম গেমউইকে ১৬ ম্যাচের ৭ টিতে গ্যালারিতে দর্শক দেখা যেতে পারে। 

    যেসব দল মাঠে দর্শক পাচ্ছে

    চ্যাম্পিয়নস লিগে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের একমাত্র দল হিসেবে ফ্রেঞ্চ ক্লাব রেনেই এক হাজারের বেশি দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ক্রাসনোদারের বিপক্ষে রেনের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেক মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবেন প্রায় ৫ হাজার রেনে সমর্থক।

    ইতালিতে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এক হাজারের বেশি দর্শক মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে লাৎসিও এবং বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ইন্টার মিলানের ম্যাচে এক হাজার করে দর্শক গ্যালারিতে বলে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। আর ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়নস লিগ মিশন শুরু ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে। ডাইনামো কিয়েভের বিপক্ষে জুভেন্টাসের ম্যাচটি প্রায় ২০ হাজার দর্শক মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবেন। ইউয়েফার নিয়ম অনুযায়ী মাঠের ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ ব্যবহার করা যাবে। ইউক্রেনের সরকারও একইরকম বিধান রেখেছে। তাই ৭০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন কিয়েভের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এই সপ্তাহে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে।

    এদিকে রাশিয়ার সরকার ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে ইউয়েফার সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ ধারণক্ষমতা ব্যবহারের নিয়মের কারণে সেটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে রাশিয়ান ক্লাবগুলোকে। বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ম্যাচে জেনিত ৩০ ভাগ দর্শক ধারণক্ষমতা ব্যবহার করবে। জেনিত ক্লাব সমর্থকদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরে মাঠে আসতে অনুরোধ করেছে।

    ইস্তাম্বুলের বিপক্ষে জার্মান ক্লাব লাইপজিগের ঘরের মাঠে সাড়ে আট হাজার দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল। তবে লাইপজিগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কমে ৯৯৯-তে এসে ঠেকেছে। অবশ্য সেই ৯৯৯ টি টিকেটও এখনো হস্তান্তর করেনি লাইপজিগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

    ফাঁকা মাঠে খেলবে যারা

    ইংল্যান্ড এবং স্পেনে এখনো করোনাভাইরাসের সব বিধিনিষেধ বলবত রয়েছে। তাই এই দুই দেশের ক্লাবগুলোকে হোম ম্যাচগুলো দর্শকবিহীন মাঠেই খেলতে হবে। এছাড়া ফ্রেঞ্চ কারফিউ আইনের কারণ প্যারিসে পিএসজিকেও ম্যান ইউনাইটেডের বিপক্ষে ফাঁকা মাঠে খেলতে হচ্ছে। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে আয়াক্স-লিভারপুল এবং গ্রিসে অলিম্পিয়াকোস-মার্শেই ম্যাচ দুটিও ফাঁকা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

    ড্যানিশ ক্লাব মিদজিল্যান্ডের সমর্থকরাও ঘরের মাঠে প্রিয় ক্লাবের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারবেন না। যদিও ডেনমার্কে মাঠে ৫০০ দর্শক প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। তবে ইউয়েফা এবং টুর্নামেন্টের স্পনসরদের আসন বরাদ্দ দেওয়ার পর সাধারণ দর্শকদের জন্য আর আসন থাকবে না বলে জানিয়েছে ক্লাবটি।

    মাঠ বদলেছে যারা

    করোনাভাইরাসের এই সময়ে বিভিন্ন কারণে নিজেদের হোম ভেন্যু বলদেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা বেশ কয়েকটি ক্লাব। রেকর্ড ১৩ বার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ মূল স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বর্তমানে নিজেদের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ছয় হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এস্তাদিও আলফ্রেদো দি স্তেফানোকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে।

    এদিকে বার্সেলোনা এবং জুভেন্টাসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ হোম ম্যাচ বড় স্টেডিয়ামে খেলতে নিজেদের মাঠ ছেড়ে পুসকাস অ্যারেনায় ঘাঁটি গাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাঙ্গেরির ক্লাব ফেরেঙ্কভারোস। বেশি সমর্থককে মাঠে বসে খেলা উপভোগের সুযোগ করে দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত ২৫ বছরে এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে ক্লাবটি। তাই সমর্থকদের এই সুবর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চায় না ক্লাবটি।

    থাকছে ইউয়েফার কঠোর নজরদারি

    ক্লাবগুলোকে মাঠের ৩০ ভাগ দর্শক ধারণক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি ঠিকই দিয়েছে ইউয়েফা, তবে মাঠগুলোতে টুর্নামেন্ট জুড়ে কঠোর নজরদারি থাকবে সংস্থাটির। গ্যালারিতে সামাজিক দূরত্বের বিধান সহ অন্যান্য নিয়মগুলো ঠিকঠাক পালনের ওপর জোর দিচ্ছে তারা। দর্শকরা নিয়ম অমান্য করলে শাস্তির খড়গ নেমে আসতে পারে ক্লাবের ওপর।