শাখতারের বিপক্ষে রামোসবিহীন রিয়াল আর আয়াক্সে ভ্যান ডাইকবিহীন লিভারপুল
রামোসকে রেখেই শাখতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল
কাদিজের বিপক্ষে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও রামোস। রামোসবিহীন রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ রেকর্ড অবশ্য মোটেই আশাজাগানিয়া নয়। গত তিন মৌসুমে রামোস ছাড়া রিয়াল যতবারই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছে ততোবারই কোনো এক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে। দলটা শাখতার দোনেতস্ক বলেই হয়ত এবার দুশ্চিন্তা খানিকটা কম। ম্যাচটাও রিয়ালের ঘরের মাঠে।
শাখতারের ম্যাচের তিনদিন পর রিয়াল মাদ্রিদকে খেলতে হবে এল ক্লাসিকোতে। বার্সেলোনার চেয়ে একদিন কম বিশ্রাম পাচ্ছে এবার রিয়াল। তবে জিনেদিন আপাতত এল ক্লাসিকো নিয়ে ভাবতে চান না। তার চিন্তাজুড়ে পুরোটাই শাখতার। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশন শেষে এখনও শাখতারের মূল দলের অনেক খেলোয়াড় ফিটনেস ফিরে পাননি। মাদ্রিদে তাই শাখতার যাচ্ছে তাদের ছাড়াই। এরপরও এই ম্যাচের মাহাত্ম্য জিদানের কাছে কমছে না, "আমরা শাখতার ম্যাচের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। পরের ম্যাচ তো এর পরে। আমরা শুধু এই ম্যাচের প্রস্তুতিই নিচ্ছি। আমি জানি শাখতারের অনেক খেলোয়াড় এখানে আসতে পারেনি। কিন্তু তাতে আসলে কিছুই বদলায়নি। ওদের স্কোয়াড বড়, সেটা দিয়েই ভালো কিছু পেতে ওরা এখানে আসবে। আমি জয় দিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করতে চাই।"
জয়টা রিয়ালের জন্য একরকম জরুরিও। লা লিগায় ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর শনিবার কাদিজের কাছে ঘরের মাঠে হেরেছে রিয়াল। বার্সেলোনা ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসটাও ফিরে পেতে হবে রিয়ালের।
ভ্যান ডাইকবিহীন পৃথিবীতে প্রবেশ ক্লপের
ভার্জিল ভ্যান ডাইক লিভারপুলে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ইউর্গেন ক্লপের দলকে ঠিক শিরোপাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তুলনা করা যেত না। ২০১৮ এর জানুয়ারিতে ওই এক চুক্তিই মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে লিভারপুলের। রক্ষণে এসেছিল স্থিতিশীলতা, তাই বাকিরা নিজেদের কাজ করে যেতে পেরেছেন নির্ভয়ে। আর লিভারপুল পার করেছে সোনালী সময়। সেই ভ্যান ডাইক এখন লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেছেন। আয়াক্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ভ্যান ডাইকবিহীন যুগে প্রবেশ করছেন ক্লপ।
ভ্যান ডাইক ছাড়া লিভারপুল কতোখানি ছন্নছাড়া সেটা অবশ্য এক ম্যাচেই বোঝা সম্ভব নয়। তবে জোয়েল মাটিপও আয়াক্সের বিপক্ষে না খেলার শঙ্কায় আছেন চোটের কারণে। শঙ্কা আছে হাঁটুর চোটে পড়া থিয়াগো আলকান্তারাকে নিয়েও। সবমিলিয়ে আমস্টারডামে লিভারপুলের জন্য কাজটা কঠিনই। তবে এখান থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারলে দারুণ এক আত্মবিশ্বাসও পুঁজি হবে লিভারপুলের। এই ম্যাচটা তাই অন্যরকম এক পরীক্ষার সামনে ফেলে দিচ্ছে ক্লপকে।
চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন শুরু করছে 'কঠিন' প্রতিপক্ষ দিয়ে
চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর নতুন মৌসুম শুরুর আগে মাত্র সাড়ে তিন সপ্তাহ বিরতি পেয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর শুরুটা নড়বড়ে হলেও টানা ৪ জয়ে আবার স্বরুপে ফিরেছে হানসি ফ্লিকের দল। আন্তর্জাতিক বিরতির পর ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে গেল সপ্তাহে দুই ম্যাচ খেলেছে বায়ার্ন। এরপর তিন দিনের বিরতি দিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ বাভারিয়ানদের। দম ফেলার সময় নেই, কিন্তু কঠিন প্রতিপক্ষ হাজির বায়ার্নের জন্য।
ডিয়েগো সিমিওনের পরিশ্রমী বায়ার্নের বিপক্ষে খেলোয়াড়দের ফিটনেস তাই একটা চিন্তার কারণ ফ্লিকের জন্য। শেষ ৬ ম্যাচে ১১ গোল হজমও করা বায়ার্নের রক্ষণও আরেকটি সমস্যা। ব্যক্তিগত কারণে খেলবেন না জশুয়া কিমিখও। চ্যাম্পিয়নস লিগের দুর্দান্ত সেই বায়ার্নকে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে তাই সংশয় আছে।
লুইস সুয়ারেজ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে চার ম্যাচে করেছেন ৩ গোল, আছে একটি অ্যাসিস্টও। তবে বায়ার্নের বিপক্ষে তার শেষ স্মৃতিটা দুঃসহ। বার্সেলোনার হয়ে ৮-২ গোলে হারের মাত্র আড়াই মাস পর আবার সেই বায়ার্নের মুখোমুখি হচ্ছেন সুয়ারেজ।