• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    আত্মঘাতী গোলে আমস্টারডাম থেকে জয় নিয়ে ফিরল লিভারপুল

    আত্মঘাতী গোলে আমস্টারডাম থেকে জয় নিয়ে ফিরল লিভারপুল    

    ফুল টাইম

    আয়াক্স ০ - ১ লিভারপুল


    ক্লিনশিট এবং জয় দিয়েই ভার্জিল ভ্যান ডাইক বিহীন জীবন শুরু হয়েছে লিভারপুলের। জয়টা অবশ্য কষ্টেই পেয়েছে লিভারপুল, তবে আপাতত এই তিন পয়েন্টই তাদের জন্য যথেষ্ট। প্রথমার্ধে আয়াক্স লেফটব্যাক নিকোলাস তালিয়াফিকোর আত্মঘাতী গোলেই জয় নিশ্চিত হয়েছে লিভারপুলের। জোড়াতালি দেওয়া রক্ষণ নিয়ে আয়াক্সের বিপক্ষে এই জয় অনেক অনুপ্রেরণাই যোগানোর কথা অলরেডদের।

    ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই সমান তালের লড়াই করেছে। অ্যালিসন-ভ্যান ডাইকবিহীন লিভারপুল রক্ষণের সুযোগ নিতে শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়েছে স্বাগতিক আয়াক্স। বেশ কয়েকবার আদ্রিয়ান দুর্দান্ত সেভে লিভারপুলকে বাঁচিয়েছেন। বিশেষ করে ৩৩ মিনিটে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে কুইঙ্কে প্রোমেসের শট ঠেকিয়ে লিভারপুলকে বড় স্বস্তি এনেছিলেন আদ্রিয়ান।

    লিভারপুল আয়াক্সের বক্সে বারবার হানা দিলেও শেষ মুহূর্তে আয়াক্স ডিফেন্ডার দারুণ সব ইন্টারসেপশন বা নিজেদের অবহেলায় বল হারিয়েছেন। তবে সাদিও মানে বরাবরের মতোই লিভারপুলের আক্রমণভাগের ত্রয়ীর মাঝে সবচেয়ে ভয়ংকর রুপে হাজির ছিলেন। ম্যাচের লিভারপুলের একমাত্র গোলটিও এসেছে তার দুর্দান্ত মুভ থেকেই। ৩৫ মিনিটে জেমস মিলনারের কুইক থ্রো থেকে বল পায়ে দারুণ শক্তি দেখিয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সের মাঝে প্রবেশ করেন মানে। তারপর গোলের সামনে ক্রস করেন তিনি, আর সেই ক্রস লিভারপুলের কোনো খেলোয়াড়কে খুঁজে না পেলেও আর্জেন্টাইন ত্যাগলিয়াফিকোর পায়ে লেগে গোলে প্রবেশ করে। ক্রসের পথে দাড়িয়ে থাকা তাগলিয়াফিকো ঠিক সময়ে পা সরিয়ে নিতে পারেননি, দেখে মনে হতে পারে নিজের জালে নিজে ইচ্ছে করেই বল ঢুকিয়ে দিয়েছেন। অদ্ভুত দর্শন ওই আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় লিভারপুল।


    চোটের কারণে আরেক ডিফেন্ডার এই ম্যাচে জোয়েল মাতিপকেও পাননি ক্লপ। তাই একমাত্র ফিট সিনিয়র সেন্টার ব্যাক জো গোমেজের সঙ্গে এদিন সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলেছেন মিডফিল্ডার ফাবিনহো। আর মিডফিল্ডে তার জায়গা নিয়েছিলেন তরুণ কার্টিস জোনস। প্রথমার্ধের একেবারে শেষের দিকে তাদিচের শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়ে আয়াক্সকে ম্যাচে ফিরতে দেননি ফাবিনহো। নতুন এই সেন্টারব্যাক জুটি ক্লপকে খুব একটা আস্থা জোগাতে না পারলেও কাজটা সেরেছে ঠিকঠাক।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে সমতায় ফিরতে পারত আয়াক্স। ৪৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডেভি ক্লাসেনের দুর্দান্ত বাঁকানো শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৬০ মিনিটে সালাহ, মানে এবং ফিরমিনো তিনজনকেই উঠিয়ে নেন ক্লপ। তাদের জায়গায় মাঠে নামেন তাকুমি মিনামিনো, জেরদান শাকিরি এবং দিয়োগো জতা। মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার পর গ্যালারিতে মানের পায়ে আইসব্যাগ দিতে দেখা গেছে। এমনিতেই চোটজর্জর লিভারপুল, তার ওপর মানে চোটে পড়লে সামনে ম্যাচগুলোতে বড় ধরনের সমস্যাতেই পড়তে হবে ক্লপকে।

    আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতার মাশুল দিয়েই ম্যাচটি হারতে হয়েছে আয়াক্সকে। দারুণ সব আক্রমণ লিভারপুলের বক্সে গিয়ে খেই হারিয়ে এই সমস্যার কারণে। আয়াক্স অধিনায়ক এবং আক্রমণভাগের মূল খেলোয়াড় দুসান তাদিচও এদিন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। ম্যাচের একেবারে শেষদিকেও আয়াক্সের ম্যাচ বাঁচাতে পারত। তখন তাদের বক্সের বাইরে থেকে করা একটি শট গেছে ওপর দিয়ে। জোড়াতালির লিভারপুলকে পেয়েও ঘরের মাঠে এমন হারের পর এরিক টেন হাগের দলের হতাশই হওয়ার কথা।

    আয়াক্স একাদশ

    ওনানা, মাজরাউই, শারস, মার্টিনেজ, তাগলিয়াফিকো, ক্লাসেন, ব্লিন্ড, গ্রেভেনবের্চ, নেরেস, কুদুস, তাদিচ

    লিভারপুল একাদশ

    আদ্রিয়ান, রবার্টসন, ফাবিনহো, গোমেজ, অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড, জোনস, ওয়াইনাল্ডাম, মিলনার, সালাহ, মানে, ফিরমিনো