বার্সেলোনার সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বার্তোমেউ
বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হোসে মারিয়া বার্তোমেউ। অনাস্থা ভোটে পদ হারানো প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিলেন ৫৭ বছর বয়সী। বার্তোমেউ-এর সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছে তার পুরো বোর্ডই।
গত কয়েক মাসে ব্যাপক সমালোচনার পর ক্লাবের সঙ্কটাপন্ন অবস্থার ভেতরও প্রেসিডেন্ট পদটি এতোদিন ধরে রেখেছিলেন বার্তোমেউ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বার্তোমেউ সরে দাঁড়ানোর পর এখন অন্তবর্তীকালীন বোর্ডের অধীনে নতুন নির্বাচন আয়োজন করবে বার্সেলোনা। এর আগে বার্সার সদ্যবিদায়ী বোর্ডের পক্ষ থেকে বার্তোমেউয়ের বিপক্ষে চলমান অনাস্থা ভোটের কার্যক্রম নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কাতালান প্রশাসন সে আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপরই মূলত সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বার্তোমেউ। অনাস্থা ভোটে এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার ভোটার বার্তোমেউর বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। অনাস্থা ভোট এড়াতে বার্তোমেউ-এর দরকার ছিল মাত্র এক তৃতীয়াংশ ভোট।
বোর্ডের সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন নতুন করে ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন বার্তোমেউ। ক্লাবের অর্থনৈতিক সঙ্কটের দায়ে মামলা হতে পারে তার বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের শেষদিকে বার্সার সভাপতি পদে বসেছিলেন বার্তোমেউ। এরপর দুই দফায় একই পদে নির্বাচিত হন তিনি। বার্তোমেউ বোর্ডের মেয়াদ ফুরোনের কথা ছিল আগামী বছর মার্চে। তৃতীয় দফায় নির্বাচনে আর মনোনয়ন কেনার সুযোগ ছিল না বার্তোমেউ-এর সামনে। চলতি সপ্তাহের সোমবারও এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়ার ঠিক একদিন পর অনেকটা নাটকীয়ভাবেই নিজের বোর্ডের সমাপ্তি টেনেছেন বার্তোমেউ।
বার্সায় বার্তোমেউ আমলের শুরুটা সাফল্যমন্ডিত হলেও শেষ দিকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার তিক্ত সম্পর্ক স্পষ্ট হচ্ছিল। দুই মাস আগে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার পেছনেও বার্তোমেউকেই দায়ী করেন অনেকে। মেসি, জেরার্ড পিকেসহ বার্সার সাবেক খেলোয়াড়দের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বার্তোমেউ-এর প্রকাশ্য সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।