শততম ম্যাচে মোরাতার জোড়া গোল, খরা কাটালেন দিবালাও
শততম ম্যাচে মোরাতার জোড়া গোল, খরা কাটালেন দিবালাও
জুভেন্টাসের হয়ে নিজের শততম ম্যাচ মনে রাখার মতোই হলো আলভারো মোরাতার। ফেরেঙ্কভারোসের বিপক্ষে তার জোড়া গোল হাঙ্গেরিতে জুভেন্টাসকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিল। পরে পাউলো দিবালা মৌসুমের প্রথম গোল পেয়েছেন, আরও একটি গোল এসেছে তার শট শট থেকেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী গোল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে. সেটি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম গ্রুপ ম্যাচে ডিনামো কিয়েভের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন মোরাতা। দ্বিতীয় দফায় জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর এই নিয়ে ৭ ম্যাচে তার গোল দাঁড়াল ৬টি।
হাঙ্গেরিতে ম্যাচের একেবারে শেষদিকে একটি গোল করেছে ফেরেঙ্কভারোস। ২৫ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে এসে ঘরের মাঠে ওই বলি জালে বল জড়ানোর পর সমর্থকেরা উদযাপন করেছেন জয়সূচক গোলের মতো করেই। হাঙ্গেরিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শক উপস্থিতির অনুমতি মিলেছিল আগেই। ফেরেঙ্কভারোস সমর্থকেরা পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেখাও। পুরো ম্যাচই খেছেন তিনি।
ম্যাচের ৭ মিনিটে হুয়ান কুয়াদ্রাদোর ক্রস থেকে সহজ ট্যাপ ইনে মোরাতা করেন প্রথম গোল। যদিও কুয়াদ্রাদো অফসাইডে ছিলেন না কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। যদিও ভিএআর বলছে ওই গোলে কোনো সমস্যাই নেই। প্রথমার্ধে এরপর আরেকটু নিখুঁত হতে পারলে ম্যাচটা আরও সহজ হতে পারত বিয়াঙ্কোনেরিদের জন্য। রোনালদোকে একবার দারুণ ব্লকে গোলের সামনে থেকে হতাশ করেছেন ফেরেঙ্কভারোস ডিফেন্ডার। নইলে ব্যবধান বাড়ত তখনই। ৬০ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকেই দারুণ এক ফিনিশে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যান মোরাতা। বক্সের ঠিক ভেতর থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে বল জালে জড়ান তখন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। এর কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন দিবালা। ফেরেঙ্কভারোস গোলরক্ষক ডেনেস ডিবুস একটি ব্যাকপাস রিসিভ করতে গিয়ে দিবালা বল উপহার দিয়ে বসেন। ফাঁকাবারে বল ঢুকিয়ে ৭৩ মিনিটে মৌসুমের প্রথম গোল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন। ৮১ মিনিটের ঘটনায় প্রায় একইরকম। ডিবুস আরও একবার বল বিলিয়ে দিয়েছিলেন, দিবালা পরে গোলে শট করেন। ফেরেঙ্ক ভারসের দাভিল লাইন থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সেটা পরিণত করেন আত্মঘাতী গোলে।
তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের পর গ্রুপে বার্সেলোনার ঠিক পরেই আছে আন্দ্রেয়া পিরলোর জুভেন্টাস।
দুই পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল ভার্নারের, বরুশিয়াকে ডর্টমুন্ডকে জেতাল হালান্ডের জোড়া গোল
চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ 'ই'-এর ম্যাচে ফ্রেঞ্চ ক্লাব রেনের বিপক্ষে সহজেই জিতেছে চেলসি। চোট জর্জর রেনে প্রথমার্ধে দুইবার পেনাল্টি উপহার দিয়েছিল চেলসিকে। দুইবারই স্পট কিক থেকে গোল করেছেন টিমো ভার্নার।
১০ মিনিটে প্রথম গোলের পর ৪১ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়েছিলেন ভার্নার। তবে দ্বিতীয় পেনাল্টি নিয়ে আছে বিতর্ক। ট্যামি আব্রাহামের শট রেনের দালভার্টের হাতে গায়ে লেগে পরে হাত ছুঁয়ে গিয়েছিল। মাঠের বাইরে মনিটর দেখে রেফারি দিয়েছেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। তখন দালভার্টকে হলুদ কার্ড দেখিয়েও সতর্ক করে দেন তিনি। কিন্তু কার্ড দেখার পর দালভার্টের হতাশ অভিব্যক্তি রেফারিকে অসন্তুষ্ট করেছে আরেকবার। সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রেফারি। দালভার্ট মাঠ ছাড়ার পর ১০ জনের রেনে হয়ে পড়ে আরও দূর্বল। বিরতির পরপর ট্যামি আব্রাহাম তৃতীয় গোল করলে বড় হার চোখ রাঙাচ্ছিল রেনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান বাড়ানো হয়নি চেলসির।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ক্রাসনোডারের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে সেভিয়া। সেভিয়ার হয়ে জোড়া গোল করেছেন ইউসুফ এল নেসাইরি, প্রথম গোলটি করেছিলেন ইভান রাকিটিচ।
গ্রুপ 'এফ'- এর ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৩-০ তে হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। থরগ্যান হ্যাজার্ড এগিয়ে দেওয়ার পর এর্লিং ব্রুট হালান্ড প্রথমার্ধেই করেছেন জোড়া গোল। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ১১ ম্যাচ খেলে ২০ বছর বয়সী নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। আর ২০২০ এর শুরুতে ডর্টমুন্ডে যোগ দেওয়ার পর থেকে ২৮ ম্যাচে তার গোল ২৬টি। টানা দ্বিতীয় জয়ে গ্রুপের শীর্ষেও উঠেছে ডর্টমুন্ড।