পিএসজির 'বারণের' পরও ব্রাজিলের দলে ইনজুরড নেইমার
গত ২৮ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে ইস্তাম্বুল বেসিকশিরের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন চোট। ধারণা করা হচ্ছিল, নেইমারকে তা ছিটকে দেবে অন্তত আন্তর্জাতিক বিরতি পর্যন্ত। কিন্তু চোটগ্রস্ত নেইমারকে তারপরও ব্রাজিল দলে রাখা হয়েছে। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে না খেললেও উরুগুয়ের বিপক্ষে নেইমারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্রাজিল।
ইস্তাম্বুলের বিপক্ষে ম্যাচে পেশীর অ্যাবডাক্টর ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার, পরে ছেড়ে যেতে হয় মাঠ। এরপর পিএসজির সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লাইপজিগের ম্যাচেও নামতে পারেননি, ধারণা করা হচ্ছিল অন্তত এই মাসের শেষের আগে নামতে পারবেন না। চোট পাওয়ার পরেই পিএসজি কোচ টমাস টুখেল বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না নেইমারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে খেলার কোনো সম্ভাবনা আছে। ও এখন ইনজুরড। যদি সে খেলে, তার মানে তার ইনজুরি ছিল না। এটা দলের জন্য ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি না।’
কিন্তু এই অবস্থাতেই ১৩ ও ১৭ নভেম্বর ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের দলে ডাকা হয়েছে নেইমারকে। ১৩ নভেম্বর খেলতে না পারলেও ১৭ নভেম্বর নেইমারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ব্রাজিল। ব্রাজিল জাতীয় দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার জানিয়েছেন সেরকমই, ‘আমার মনে হয় নিবিড় চিকিৎসার পর ও খেলার জন্য ফিট হয়ে উঠতে পারে। এজন্যই নেইমারকে আমরা দলে রেখেছি।’ ব্রাজিল ফেডারেশ জানিয়েছে, তারা নেইমারকে দলে রাখার ব্যাপারটা পিএজসিকে এর মধ্যেই জানিয়ে রেখেছে। ব্রাজিল কোচ তিতেও পিএসজির ডিরেক্টর ব্রাজিলের জুনিনহোকে বলেছেন, নেইমারসহ কোনো খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্য নিয়েই কোনো রকম ঝুঁকি তারা নেবেন না।
চোটের জন্য কুতিনিয়ো, ফাবিনিও, ডিফেন্ডার রদ্রিগো ও করোনা ভাইরাসের জন্য আরেক ডিফেন্ডার এডার মিলিতাওকে পাচ্ছেন না তিতে। ডাকা হয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গোর ২৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার পেদ্রোকে। ২০১৮ সালে ডাক পাওয়ার পর হাঁটুর চোটে ছিটকে পড়েছিলেন তিনি, এবার আরেকবার সুযোগ পেলেন।
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে দুই জয় নিয়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে ব্রাজিল।