ছবি কথা কয় : চেনা চিগুম্বুরা, অচেনা 'মিজা'
ছবি- পাকিস্তান ক্রিকেট টুইটার
ছবিতে মুহুর্ত থমকে দাঁড়ায় বা বন্দী হয়ে থাকে। ছবি মানে গল্প। ছবি সে গল্পের অনেক কিছু বলে, অনেক কিছু বলে না। তবে সে ছবির সঙ্গে জড়িয়ে যায় সেসব গল্প। আমাদের নতুন সিরিজে ছবি নিয়ে গল্প বলার চেষ্টা করেছি আমরা, হয়ত সে গল্প এ ছবিতে আছে, কিংবা নেই। অথবা স্রেফ আমরা দেখি না।
এল্টন চিগুম্বুরার যে জার্সিটা পরে নেমেছেন, তার নম্বর ২৮৪। সাধারণত ৪৭ নম্বর জার্সি তার, তবে এদিন নেমেছেন বিশেষ এই সংখ্যা নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটি ২৮৪তম ম্যাচ তার, জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৮১তম। বাকি ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন আফ্রিকা একাদশের হয়ে, আফ্রো-এশিয়া কাপে।
এ ম্যাচটা চিগুম্বুরার জন্য বিশেষ কিছু। ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হচ্ছে তার এ ম্যাচ দিয়ে।
****
‘হাউজহোল্ড নেম’কে বাংলায় বলা যায় গৃহস্থালী নাম। যে নাম আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত। বাংলাদেশে এই সময়ে সেই গৃহস্থালী নামের একটা বড় অংশে যে ক্রিকেটাররা থাকবেন, সেটির জন্য বোধহয় জরিপ লাগে না। শেষ কয়েকদিন ফেসবুকের হোমফিডে ‘সাকিব আল হাসান’ নামটা কয়বার এসেছে, সেটি একটু মনে করলেই চলবে।
সাকিব তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে- ৬০টি। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাকরাও তাই। সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ৬০টি ম্যাচের ৫১টিতেই খেলেছেন চিগুম্বুরার সঙ্গে। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ চিগুম্বুরাকে ছাড়া খেলেছেন ১৬টি করে ম্যাচ। মাশরাফি, আশরাফুল, তামিম ও রাজ্জাক যথাক্রমে ১৪, ১১, ১১ ও ৩টি।
ক্যারিয়ারে চিগুম্বুরা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে
চিগুম্বুরা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি ৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই। জিম্বাবুয়ের হয়ে তার চেয়ে বেশি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন শুধু ব্রেন্ডন টেইলর ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা-- ৭১টি করে।
ক্রিকেটে গৃহস্থালী প্রতিপক্ষ বলে যদি কোনো ব্যাপার থাকে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি নিশ্চিতভাবেই জিম্বাবুয়ে। ভারতের ক্ষেত্রে সেই পুরোনো কৌতুকের মতো-- তারা সপ্তাহে তিনদিন খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, বাকি চারদিন তাদের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নেয় (এখনকার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত সবচেয়ে বেশি খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, দুইয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
বাংলাদেশের গৃহস্থালী প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পরিচিত নামগুলি যদি আলাদা করা হয়, টেইলর, মাসাকাদজার সঙ্গে চিগুম্বুরা নিশ্চয়ই ওপরের দিকেই থাকবেন।
****
এল্টন চিগুম্বুরা বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছিলেন দুটি লিগে-- ডিপিএলে দুই মৌসুম, বিপিএলে দুই মৌসুম। ২০১৩-১৪ মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন পুরো ডিপিএলই, ৫৫.৮৫ গড়ে করেছিলেন ৩৯১ রান, ১ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে। বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। পরের মৌসুমে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন, তবে এর দুটিই ছিল রেলিগেশন লিগে।
শেষ ম্যাচে চিগুম্বুরা পেয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগের ঘরোয়া ‘স্বাদ’। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সেদিন পুরো ম্যাচ না খেলেই উঠে গিয়েছিল পারটেক্স গ্রুপ, ফলে জিতেছিল কলাবাগান।
২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে সিলেট রয়্যালসের হয়ে খেলেছিলেন চিগুম্বুরা। সে আসরে সবচেয়ে বেশি ১৯টি ছয় মেরেছিলেন, প্লে-অফে ২য় কোয়ালিফায়ারে ২৫ বলে ৪২ রান করেছিলেন, তবে চিটাগং কিংসের কাছে হেরে গিয়েছিল তার দল। ১৫৪.৬৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন। চিগুম্বুরা ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচিত ছিলেন ‘বিগ-হিটার’, সঙ্গে ‘হ্যান্ডি অলরাউন্ডার হিসেবেই’।
দারুণ পারফরম্যান্সের পরও চিগুম্বুরার সে বিপিএল সুখকর ছিল না, তিনি ও মাসাকাদজা-- দুই জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটারই অভিযোগ করেছিলেন বকেয়া পাওনার, যেটি বিসিবি স্বীকারও করেছিল। ২০১৫ বিপিএলে আবার ফিরে এসেছিলেন তিনি, তবে সেবার খেলেছিলেন শুধু ২ ম্যাচ।
****
২০০১-০২ মৌসুমে লোগান কাপে মাশোনাল্যান্ড ‘এ’র হয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক হয়েছিল এল্টন চিগুম্বুরার। তার মাসদুয়েক আগেই নিজের প্রথম অ-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন।
দ্বিতীয় অ-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন বাংলাদেশে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অঘটনের জয়ে চিগুম্বুরা নিলেন ৪ উইকেট। এর মাত্র তিন মাস পরই তার ডাক পড়লো জাতীয় দলে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট তখন টালমাটাল। ক্রিকেটাররা বিদ্রোহ করেছেন, একটা গ্রুপ বয়কট করেছেন। ‘জোড়াতালি’ দেওয়া শুরু হয়ে গেছে তাদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে অভিষেক হয়ে গেল চিগুম্বুরার। সেই যে খেলা শুরু করলেন, তিনি থেকে গেলেন।
২০১৩ বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ছয় মেরেছিলেন চিগুম্বুরা/বিসিবি
সেবারই টেস্ট অভিষেকও হয়ে গেল। পরের বছর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশে এলেন সিনিয়র লেভেলে। চট্টগ্রামে প্রথম প্রথম ইনিংসে ফিফটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন চিগুম্বুরা। তবে দলের হার ঠেকাতে পারলেন না, বাংলাদেশ টেস্টে জিতলো প্রথমবারের মতো।
ক্যারিয়ারে ১৪ টেস্টের মাঝে ৩টিতে জিতেছেন চিগুম্বুরা, এর দুটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে ২০১১ ও ২০১৩ সালে হারারেতে সে দুই জয়ের আগে প্রায় ৬ বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়ে ‘লিম্বো’তে আটকে ছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১৩ সালে হারারেতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
****
ওয়ানডেতে ৬ বার ম্যাচসেরা হয়েছিল চিগুম্বুরা। ২০১৫ সালে হারারেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানের জয়ে হয়েছিলেন শেষবার। সেবারই ক্যারিয়ারের ১৯ ফিফটির শেষটি করেছিলেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য এরপর একবার ফিফটি করেছিলেন, ২০১৬ সালে। সাতে নেমে করেছিলেন ২৬ বলে ৫৪, জিম্বাবুয়ে ভারতকে হারিয়েছিল ২ রানে। সে বছরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শেষবার বোলিং করেছেন তিনি, অলরাউন্ডার চিগুম্বুরা নিতে পারেননি আর চোটের ভার। তবে বোলিং শেষের আগে ৪০০০ রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল হয়েছিল তার ওয়ানডেতে, যে রেকর্ড আছে আর একজন জিম্বাবুইয়ানের।
২০১১ ও ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়েকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম এক দশক জিম্বাবুয়ে একাদশের নিয়মিত মুখ এরপর থেকেই হয়ে পড়েছিলেন অনিয়মিত। ২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
এবার পাকিস্তান গিয়ে আশা করেছিলেন, নিজের ফর্মটা ফিরে পাবেন। চোট-টোট সামলে উঠেছেন, বলেছিলেন সেটিও। বয়স এখনও ৩৫ হয়নি, হয়তো ‘লাস্ট হুররাহ’ দেখা যাবে, মনে হয়েছিল তেমন। তবে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পেলেন না, টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাঝপথে ঘোষণা দিলেন, এই শেষ।
****
উসমান কাদির যেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের চর্কিপাকে ঘোরাচ্ছেন, কমেন্ট্রিতে বলছিলেন উরুজ মুমতাজ। এ সিরিজেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগস্পিনার-পুত্রের অভিষেক হয়েছে, প্রথম সিরিজেই ঝলকও দেখিয়েছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে শেষ ম্যাচে তো গড়ে ফেললেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগারই। সেদিন তার বলে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারলেন না জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা।
কাদিরের গুগলিতে সামনে এসে ধরা খেলেন মিলটন শুমবা, যেদিন তার অভিষেক হয়েছে ফারাজ আকরামের সঙ্গে। স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেলেন, বাউন্ডারি পেরুনোর আগে একটু দাঁড়ালেন। হাতের পর কাঁধ মেলালেন নামতে থাকা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে, যার জার্সি নম্বর ২৮৪। নামার সময় হেলমেট পরাই ছিল চিগুম্বুরার, একটু পর সেটা খুলতে হলো।
পাকিস্তান ক্রিকেটাররা গার্ড অফ অনারে দাঁড়িয়ে গেছেন। সবার সঙ্গে আলাদা করে করমর্দন করলেন। আম্পায়ার আহসান রাজা কিছু একটা ইঙ্গিত করলেন, জবাবে চিগুম্বুরা যেন সালাম ঠুকলেন একটা। আনুষ্ঠানিকতা পেরিয়ে এবার কাদিরের সামনে গিয়ে পড়লেন তিনি।
পরের ওভারে লেগ-মিডলে পড়া গুগলিটা পড়লেন ঠিকই, তবে সুইপের চেষ্টা ব্যর্থ হলো। গ্লাভসে চুমু দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়লেন, রাজার সিদ্ধান্তটা রিভিউ করলেন না। ফেরার পথে এবার গার্ড অফ অনার পেলেন সতীর্থদের।
এবার তবে বিদায়!/জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
সে ম্যাচ শেষ হতে বেশি সময় লাগলো না। রাজার সঙ্গে ম্যাচশেষে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কথা বললেন, হয়তো তার সঙ্গে আলাদা কোনো স্মৃতি আছে চিগুম্বুরার। পাকিস্তানে শেষ সফরে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন, এবার ফর্মটা ফিরে পাওয়ার আশা করেছিলেন। উলটো বিদায় বলে দিলেন। ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হলো তার।
****
রাওয়ালপিন্ডিতে আঁধার নেমেছে আরও আগেই। স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নেভেনি তখনও।
২৮ জন দাঁড়িয়ে, একটা গ্রুপ-ফটো। সবার পরনে বিশেষ টি-শার্ট। এদের মাঝে ২৭ জন পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে। সেই টি-শার্টে ৪৭ সংখ্যাটার ওপরে একটা নাম-- ‘মিজা’। জিম্বাবুয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের মাঝে প্রচলিত ‘শোনা’ ভাষায় এ শব্দটার অর্থ-- কামার, কারুশিল্পি। যিনি লোহা পিটিয়ে জিনিস গড়েন।
২৮ জনের মাঝে একজন শুধু এপাশ ফিরে দাঁড়ানো, মুখে বড় একটা হাসি, হাতে একটা স্মারক। এল্টন চিগুম্বুরা, জিম্বাবুয়ের ‘মিজা’। হয়তো বিগ-হিটিংয়ের সামর্থ্য দেখেই এমন দেওয়া হয়েছিল তাকে। তার জন্যই এই ফটোসেশন।
“আজ আমি মুখে একটা হাসি নিয়ে কুর্ণিশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চাই। ক্যারিয়ারজুড়েই আশির্বাদের জন্য প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই, আজ আমি যা, এর জন্য আমার পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন ও দিকনির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। যেসব কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ আমাকে সহায়তা করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। সমর্থকরা সবসময়ই সীমানা পেরিয়ে মাঠে প্রবেশের পর থেকেই আমাকে সমর্থন করে গেছেন, আপনাদের ধন্যবাদ। সবশেষে ক্রিকেটকে বলতে চাই, তুমি আমার জীবনকে বদলে দিয়েছো। যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, যেখানে এসেছি। (তুমি) আমার কাছে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার একটা টিকেট। বিদায়।”
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন চিগুম্বুরা। “অ্যাম আউট, চিয়ার্স”, পোস্টটা শেষ করেছেন এভাবে। সাধারণত মঞ্চে পারফর্ম করা অনেকেই এ বিদায় সম্ভাষণটা ব্যবহার করেন।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিগুম্বুরার পারফরম্যান্সটা ছিল সময়ের হিসেবে বেশ লম্বা। চোট, জিম্বাবুয়ের অবকাঠামো- সবকিছুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর দীর্ঘ ক্যারিয়ারশেষে পরিসংখ্যানের জটিল হিসাব-নিকাশ পেরিয়ে হয়তো তার জন্য ‘মাঝারিমান’-এর মতো একটা আউটপুট আসবে। তবে জিম্বাবুয়ের কাছে বিশেষ একজনই তিনি। আর দিনশেষে হয়তো ভ্রমণটাই সব, ভ্রমণশেষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চেয়ে।
সেই ভ্রমণে ‘মিজা’ নামটা হয়তো সেভাবে পরিচিত নয় বাংলাদেশের কাছে, তবে এল্টন চিগুম্বুরা নামটা ভুলতে সময় লাগবে, সেটা নিশ্চিত।
ছবি কথা কয় - 'শচীন হু?'
ওয়ার্ন, কেপি, হ্যাম্পশায়ার ও স্লিপ-কর্ডন
সময়ের আপেক্ষিকতায় শুরু কিংবা শেষ