• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    ফিরমিনোর গোলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তিতে

    ফিরমিনোর গোলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তিতে    

     

    চোটজর্জর দলে নিয়মিতদের অনেককে ছাড়াই একাদশ সাজাতে হয়েছিল ব্রাজিল কোচ তিতেকে। তুরুপের তাস নেইমার ছিলেন না, ছিলেন না কুতিনিও, ফাবিনিও, কাসেমিরোরা। তবে শেষ পর্যন্ত ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলকে স্বস্তি দিয়েছেন রবার্তো ফিরমিনো। লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের করা একমাত্র গোলেই ভেনেজুয়েলাকে হারিয়েছে ব্রাজিল। বাছাইপর্বে তিন ম্যাচে তিন জয়ে রইল সবার ওপরেই।

    নেইমার না থাকায় আক্রমণটা একটু অন্যভাবে সাজাতে হয়েছিল তিতেকে। তিন স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফিরমিনো আর রিচার্লিসনকে নামিয়েছিলেন একসঙ্গে। আর মধ্যমাঠে ডগলাজ লুইজ, এভারটন রিভেইরোর সঙ্গে ছিলেন অ্যালান। কিন্তু আক্রমণটা ঠিকমতো দানা বাঁধছিল না। অবশ্য ম্যাচের ৮ মিনিতে রিচার্লিসন গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু বিল্ড আপের সময় অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।। এরপর ব্রাজিল চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু গোল করার ঠিক পরিষ্কার সুযোগ পাচ্ছিল না। দুই ব্যাক দানিলো আর রেনান লোদি ক্রস ফেলছিলেন, কিন্তু সেটা থেকে হেড করতে পারছিলেন না ফিরমিনোরা। তিতের হয়তো মনে পড়ে যাচ্ছিল, গত বছর এই ভেনেজুয়েলাই তার দলকে ঠেকিয়ে রেখেছিল পুরো ৯০ মিনিট। এই ম্যাচেও যে সেরকম কিছু করারই ইচ্ছা, সেটা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছিল ভেনেজুয়েলা।

    প্রথমার্ধের বড় সুযোগটা ব্রাজিল পায় ৩৩ মিনিটে। বাঁদিক থেকে আসা বলটা ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু গোলে ঠেলে দিতে পারেননি, সেটা বরং পেয়ে যান রিচার্লিসন। কিন্তু কাছ থেকেও বল পোস্টে রাখতে পারেননি এভারটনের এই স্ট্রাইকার, ব্রাজিলেরও পাওয়া হয়নি প্রথম গোল। এরপরেই ভেনেজুয়েলা একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওথে, বক্সে একটা বিপজ্জনক ক্রসও এসেছিল। কিন্তু সেটা ঠিক সময়ে ক্লিয়ার করেন মারকিনিওস। থিয়াগো সিলভার সঙ্গে আজ জুটিতে তেমন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি, গোলরক্ষক এডারসনকেও করতে হয়নি তেমন একটা সেভ। ৪১ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। রিচার্লিসনের হেড ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেওয়ার পর রিবাউন্ড থেকে গোল করেন ডগলাস লুইজ। কিন্তু তার আগেই রিচার্লিসন ফাউল করেছিলেন, তাই টেকেনি সেই গোল।

    দ্বিতীয়ার্ধে ডগলাজ লুইজের জায়গায় মাঠে নামেন লুকাস পাকেতা, তবে আক্রমণের জন্য ক্রসের ওপরেই নির্ভর করছিল তিতের দল। ৫৩ মিনিটে আবারও ভিএআর দৃশ্যপতে, এবার ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার পেনাল্টি বক্সে বল হাতে লাগিয়েছিলেন কি না সেটা খুঁটিয়ে দেখেছেন রেফারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ভেনেজ্যেলা রক্ষণ তখনও নিজেদের কাজটা করে যাচ্ছিল ঠিকঠাক। শেষ পর্যন্ত ৬৭ মিনিটে এসে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে তিতের। ডান দিক থেকে এভারটন রিভেইরোর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলটো বিপজ্জনক জায়গায় দিয়ে দেন ভেনেজুয়েলা ডিফেন্ডার ওসোরিও, ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ফিরমিনো। লিভারপুলের হয়ে ফর্ম যেমনই হোক, ব্রাজিলের হয়ে নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন ঠিকমতোই। গত তিন ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে তিনটি গোল আর একটি অ্যাসিস্ট তার।

    এরপর রিচার্লিসন আর জেসুসের জায়গায় নামেন পেদ্রো আর এভারটন। তবে গোলের আর তেমন সুযোগ পায়নি দুই দল। শেষ দিকে সেট পিস থেকে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল ভেনেজুয়েলা, কিন্তু সেটা হয়নি। ১-০ গোলের জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।