• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লেস্টারকে হারিয়ে অ্যানফিল্ডে নতুন মাইলফলক লিভারপুলের

    লেস্টারকে হারিয়ে অ্যানফিল্ডে নতুন মাইলফলক লিভারপুলের    

    ফুলটাইম
    লিভারপুল ৩-০ লেস্টার সিটি


    মূল একাদশের ছয়জন খেলোয়াড়কে ছাড়া একাদশ সাজাতে হয়েছিল লিভারপুল ম্যানেজার ইউর্গেন ক্লপকে। চোটের তালিকা বড় হলেও লিভারপুলের চেহারায় বদলায়নি এতোটুকুও। বরং প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা আরও বড় বার্তা দিয়ে গেছে লেস্টার সিটিকে হারিয়ে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সপ্তাহ শুরু করেছিল ব্রেন্ডন রজার্সের লেস্টার। কিন্তু সাবেক ক্লাব লিভারপুলের বিপক্ষে রজার্সের দল মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে লিভারপুল জিতে নিয়েছে ম্যাচ। টটেনহামের সমান ২০ পয়েন্ট নিয়ে কেবল গোলব্যবধানে পিছিয়ে থেকে লিভারপুল এখন আছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে।


    দারুণ আরেকটি জয়ের পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের অপরাজিত থাকার ধারা গিয়ে ঠেকল ৬৪-তে। ক্লাবের ইতিহাসে যেটা নতুন রেকর্ড। ক্লপের আমলে নতুন সব মাইলফলক সৃষ্টি অবশ্য আরও আগ থেকেই রীতিতে পরিণত হয়েছে অ্যানফিল্ডে। ১৯৮১ সালে এই লেস্টার সিটির আকছে হেরেই বব পেইসলির লিভারপুলের অ্যানফিল্ডের ৬৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারায় ছেদ পড়েছিল। এবারও তেমন একটা শঙ্কা ভর করেছিল অ্যানফিল্ডে। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, মোহামেদ সালাহ, অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড, জো গোমেজ, থিয়াগো আলকান্তারারা ছিলেন না দলে। ফাবিনহো ফিরে রক্ষণে খেলেছেন। দুই জন ঊনিশ বছর বয়সীকে স্কোয়াডে রেখে দল সাজাতে হয়েছিল লিভারপুলকে। কিন্তু ক্লপের দল তুড়ি মেরে সব শঙ্কা দূর করেছে সহজ জয়ে। 

    ২১ মিনিটে কর্নার থেকে সাবেক ম্যান ইউনাইটেড ডিফেন্ডার জনি এভানস আত্মঘাতী গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। একবার লিড নেওয়ার পর লিভারপুল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আর ছাড়েনি। বিরতির ৪ মিনিট আগে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের বাম প্রান্ত থেকে করা ক্রস গ্ল্যান্সিং হেডারে জালে ঢুকিয়ে দেন ডিয়েগো জোতা। অ্যানফিল্ডে এই নিয়ে নিজের প্রথম ৪ ম্যাচেই গোল পেলেন তিনি। ছোট এই মাইলফলকটিও ঢুকে গেছে অ্যানফিল্ডে ইতিহাসে। প্রথম ৪ ম্যাচে লিভারপুলের কোনো খেলোয়াড় ঘরের মাঠে গোল করতে পারেননি এর আগে।

    দ্বিতীয়ার্ধে এভানস আবারও আত্মঘাতী গোল করে বসতে পারতেন। তবে বারপোস্টের কারণে বেঁচে গেছেন তিনি। লিভারপুল এরপর আরও দুইবার বারপোস্টে বল লাগিয়েছে। ৭৯ মিনিটে ৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে রবার্তো ফিরমিনো ও সাদিও মানের শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। ম্যাচ শেষের মিনিট খানেক আগে কর্নার থেকে হেডে গোল করে ফিরমিনো অবশ্য হতাশা ভুলেছেন, সঙ্গে লিভারপুলেরও সহজ আরেকটি জয় নিশ্চিত হয়েছে।