ছাড়পত্র পেয়ে কাতার যাচ্ছেন জীবন
বাংলাদেশ দল কাতার রওয়ানা হয়ে যাওয়ার আগেরদিন খারাপ খবরটা পেয়েছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। হাঁটুর চোটের কারণে দলের সঙ্গে কাতারে যাওয়া হয়নি তার। তবে এক সপ্তাহ পর সেই হতাশা কাটিয়ে উঠছেন তিনি। হাঁটুর চোটে উন্নতি হয়েছে, ৪ ডিসেম্বর কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার। তাই আগামীকাল ২৫ নভেম্বর কাতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাচ্ছনে তিনি।
জীবন জানিয়েছেন এখন তিনি ভালো অনুভব করছেন। দলের ফিজিও আন্দ্রে জোয়ান কার্লে কাতার থেকেই নিয়মিত জীবনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। চোটের অবস্থার যে উন্নতি হয়েছে সেটা ভিডিও কলে নিশ্চিত হয়েছেন দলের জিফজিও।
জীবন বলছেন কাতারের বিপক্ষেক খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার, সে কারণেই শেষ মুহুর্তে ছাড়পত্র মিলেছে, "আমাদের ফিজিও আন্দ্রে (আন্দ্রে জোয়ান কার্লে) নিয়মিত ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং খোঁজ খবর রাখত। কিছু অনুশীলনও করাত ভিডিও কলের মাধ্যমে। যেগুলো আগে আমি করত পারতাম না, কিন্ত এখন পারছি। সে কারণেই ফিজিও কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এরপর কোচ অফিসিয়াল মেইলে আমাকে কাতার যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।"
জীবন যেদিন কাতার পৌঁছাবেন সেদিন স্থানীয় সময়ে বিকেলে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কাতার আর্মি ফুটবল দল। এরপর ২৮ তারিখ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে জীবনের খেলার সুযোগ নেই, দ্বিতীয় ম্যাচেও তিনি অংশ নিতে পারবেন কি না তার নির্ভর করবে জীবনের ফিটনেসের ওপর। নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন জীবন। সেই চোট নিয়েই এতোদিক ধুঁকছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ দল কাতারে পৌঁছেছে ১৯ নভেম্বর। এরপর বাধ্যতামূলক তিনদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে পুরোদমে চলছে এখন অনুশীলন। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তার অনুপস্থিতিতে সহকারি কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের অধীনে চলছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি। নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল জেমি। এরপর আরও দুই দফায় পরীক্ষা করা হলেও পজিটিভই এসেছে বাংলাদেশ কোচের ফল। জেমি ডে জানিয়েছেন তার শরীরে এখনও মৃদু উপসর্গ রয়েছে।