নেইমারের গোলে লাইপজিগকে হারালো পিএসজি
ফুলটাইম
পিএসজি ১-০ লাইপজিগ
দুই দলের নামের বিচারে স্কোরলাইন খানিকটা হতাশাজনক। তবে পিএসজির জন্য এই স্কোরলাইনই পরম স্বস্তির। লাইপজিগের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরের রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে পিএসজি।
চোট থেকে ফিরে প্রথমবারের মতো একাদশে ফিরেছিলেন নেইমার। ম্যাচের ১১ মিনিটে তার নেওয়া পেনাল্টি থেকেই এগিয়ে যায় পিএসজি। আগের লেগে লাইপজিগের জয়ের নায়ক এমিল ফর্সবার্গ পেছন থেকে আনহেল ডি মারিয়াকে বক্সের ভেতর ফেলে দিলে পেনাল্টি পেয়েছিল পিএজসি। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত স্পটকিক নিয়ে নেইমার সেরেছেন বাকি কাজটা।
থমাস তুখলের দল এরপর বলার মতো আক্রমণ আর সাজাতে পারেনি ম্যাচে। লাইপজিগ বারবার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিল যদিও। তবে পিএসজি রক্ষণে মনোযোগী হয়ে সহজেই সেই আক্রমণগুলো একের পর এক ফিরিয়ে দিয়ে গেছে। আগের লেগে লাইপজিগের কাছে হেরেই সমীকরণ কঠিন বানিয়ে ফেলেছিল গতবারের রানার্স আপ পিএসজি। তবে নেইমারের ৩৬ তম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দক্ষিণ আমেরিকানদের ভেতর নেইমার এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৪০ গোল নিয়ে দুইয়ে আছেন সার্জিও আগুয়েরো আর ১১৮ গোল নিয়ে এই তালিকার সবার ওপরে লিওনেল মেসি।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইস্তাম্বুল বাসেকসাহিকরে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পরের রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে ইউনাইটেডও। ব্রুনো ফার্নান্দেজ করেছেন জোড়া গোল। ৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে হাফ ভলিতে প্রথম গোল করেন ফার্নান্দেজ। ১৭ মিনিটে বাসেকসাহির গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে তিনি করেন দ্বিতীয় গোল। বিরতির আগেই পেনাল্টি থেকে ফার্নান্দেজ হ্যাটট্রিক পূরণ করতে পারতেন। তিনি মার্কাস র্যাশফোর্ড সেই কিক নিয়ে গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন। ম্যাচের ১৫ মিনিট বাকি থাকতে বাসেকসাহির এক গোল শোধ করলেও যোগ ক্রয়া সময়ে ড্যানিয়েল জেমস আরও এক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন।
চার ম্যাচ শেষে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সবার ওপরে আছে ইউনাইটেড। শেষ দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ লাইপজিগ ও পিএসজি। দুই দলেরই পয়েন্ট ৬ করে। তবে গোলব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে আছে পিএসজি।