দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে কিয়েভে বার্সার ৪ গোল
ফুলটাইম
ডিনামো কিয়েভ ০-৪ বার্সেলোনা
লিওনেল মেসি ছিলেন বিশ্রামে। ডিনামো কিয়েভের বিপক্ষে এরপরও নিজের দ্বিতীয় সারির দলটা নামিয়েছিলেন রোনাল্ড কোমান। এ যাত্রায় অবশ্য কোমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল দারুণ হয়েছে। মার্টিন ব্রাথওয়েটের জোড়া গোলের সঙ্গে আন্টোয়ান গ্রিযমানও গোলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। অন্য গোলটি করেছেন সার্জিনিয়ো ডেস্ট, যুক্তরাষ্ট্র রাইটব্যাকের গোলেই লিড নিয়েছিল বার্সা। সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে।
ডিনামো কিয়ভেকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিগে শতভাগ জয়ের ধারাতেই থাকল বার্সা। সঙ্গে শেষ ষোলও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে। এই গ্রুপ থেকে জুভেন্টাসও নক আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে।
মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান, ক্লেমেন্ত ল্যাংলেট ও ফিলিপ কৌতিনহোছাড়া একাদশের সবাই ছিলেন অনিয়মিত। ব্রাথওটের সঙ্গে পেদ্রি ও ট্রিনকাও ছিলেন আক্রমণভাগে। তবে প্লেমেকিং- এর দায়িত্ব পড়েছিল কৌতিনিহোর কাঁধে। যদিও প্রথমার্ধে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি বার্সার আক্রমণভাগ। শ্লথ আক্রমণ নিয়ে কিয়েভের গোলে ভীতি ছড়াতেই তখন ব্যর্থ হয়েছে বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার কপাল খুলেছে বার্সার নিখুঁত পাসিং ফুটবলের পর। পেদ্রি, ডেস্ট, ব্রাথওয়েটের পর আবার বল পান ডেস্ট। বক্সের ভেতর থেকে কাছের পোস্টে বল জড়িয়ে বার্সার তরুণ রাইটব্যাক ক্লাবের হয়ে করেন নিজের প্রথম গোল। ওই গোলের পর ম্যাচ জটলা খুলে যায় বার্সারও।
বার্সার রক্ষণে এদিন অভিষেক হয়েছে অস্কার মিনগুয়েজার। ২১ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের অবদান আছে বার্সার দ্বিতীয় গোলে। কর্নারের পর কাছের পোস্ট থেকে হেডে বল ফ্লিক করে পেছনের পোস্টে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ছিলেন ব্রাথওয়েট, আরেক হেডে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
ব্রাথওয়েট ম্যাচ শেষ করেছেন এক অ্যাসিস্ট ও জোড়া গোল নিয়ে। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে পরে নিজেই স্পটকিক থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন। এর মিনিট পাঁচেক আগেই অবশ্য রিকি পুজ, গ্রিযমান, জর্দি আলবারা মাঠে নেমেছিলেন। শেষদিকে আলবার কাটব্যাক থেকে বাম পায়ের জোরালো শটে গ্রিযমান করেন চতুর্থ গোলটি।
লা লিগায় ধুঁকতে থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ছন্দটা তাই ধরেই রেখেছে কোমানের দল।