শেষ ১৩ মিনিটে ঘুরে দাঁড়িয়ে ডার্বি জিতল রোনালদোর জুভেন্টাস
একই শহরের ক্লাবে, কিন্তু ধারের আর ভারে দুটোতেই তুরিনো অনেক পিছিয়ে জুভেন্টাসের চেয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে গত ২৫ বছর ধরে জয় তাই অধরা তাদের। সেটা কাল পেয়েই যাচ্ছিল তুরিনো, কিন্তু শেষ ১২ মিনিটের দুর্দান্ত ফেরায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ২-১ গোলে জিতে নিয়েছে জুভেন্টাস।
রোনালদোদের হতভম্ব করে কাল ম্যাচের ৯ মিনিটেই লিড নেয় তুরিনো। কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করতে জুভেন্টাস ব্যর্থ হওয়ায় সেটি এসে পড়ে নিকোলাস এনকুলুর পায়ে। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর জুভেন্টাস বল পজিশন রাখলেও সেভাবে কোনো সুযোগই পাচ্ছিল না। বেশির ভাগ আক্রমণ ছিল লক্ষ্যহীন, প্রথমার্ধের শেষ দিকে এসে বরং প্রতিপক্ষের গোলে প্রথম শট নেয়। রোনালদোরাও হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেদের। বরং সিমোনে জাজা সরাসরি শেজনির গায়ে মেরে না দিলে দ্বিতীয় গোলটাও পেতে পারত তুরিনো।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে একটু গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে জুভেন্টাস। ৫৭ মিনিটে হুয়ান কুয়াদ্রাদো সমতাসূচক গোলটা পেয়েই গিয়েছিলেন। বক্সের বাইরে থেকে তার ডান পায়ের শট জড়িয়ে গিয়েছিল জালে। কিন্তু অফসাইডে থেকে খেলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছেন বনুচ্চি, ভিএআরের এই রায়ে বাতিল হয়ে যায় গোল।
তবে জুভেন্টাস চাপ বাড়াচ্ছিল। ৭৭ মিনিটে শেষ পর্যন্ত পেয়ে যায় গোল। কুয়াদ্রাদোর ইন্সুইং ক্রস থেকে হেড করে এগিয়ে দেন বদলি হিসেবে নামা আমেরিকান অয়েস্টন ম্যাকেনি। শেষ দিকে আরও চাপ বাড়াতে থাকে জুভেন্টাস, দ্বিতীয় গোলটা আসে প্রায় প্রথম গোলের ফর্মুলা অনুসরণ করেই। এবারও কুয়াদ্রাদোর ক্রস, সেখান থেকে এবার হেড করে গোল করেন বনুচ্চি।
এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছিল জুভেন্টাস। পরে ইন্টার বোলোনিয়াকে হারানোয় তারা আবার নেমে গেছে তিনে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইন্টার, এক ম্যাচ কম খেলে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে এসি মিলান।