• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ন্যু ক্যাম্পে 'ভীত' বার্সাকে চোখ রাঙিয়ে গেল রোনালদোর জুভেন্টাস

    ন্যু ক্যাম্পে 'ভীত' বার্সাকে চোখ রাঙিয়ে গেল রোনালদোর জুভেন্টাস    


    ম্যাচ শেষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি এগিয়ে গেলেন দুজন দুজনের দিকে। দুজন দুজনকে আলতো করে পিঠ চাপড়ে দিলেন। পার্থক্য একটাই, মেসির হাসি কিছুটা মলিন, আর রোনালদোর চওড়া। ন্যু ক্যাম্পে এসে সেই পুরনো দিনের মতো জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন, তাও আবার দুই গোল করে- রোনালদোর হাসিটা বড় না হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেই সঙ্গে বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই নকআউটে গেছে জুভেন্টাস, সেটাও তো অনেক বড় প্রাপ্তি।

    মেসি আর রোনালদোর দ্বৈরথ নিয়ে এই ম্যাচ নিয়ে ছিল জমজমাট অপেক্ষা। তবে ম্যাচটা কোন দিকে যেতে পারে সেটা প্রথমার্ধের শুরুতেই বোঝা হয়ে গেছে। ১১ মিনিটেই রোনাল্ড আরাউয়হোর সঙ্গে শোল্ডার টু শোল্ডার হতে গিয়ে বক্সে ফেলে দেওয়া হয় রোনালদোকে, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রোনালদো। খানিক পরেই জুভেন্টাস পেয়ে যায় নিজেদের দ্বিতীয়, আর ম্যাচের সেরা গোল। সিরি আর আগের ম্যাচেই গোল করেছিলেন আমেরিকান ওয়েস্টিন ম্যাকেনি, তবে কালকের গোলটা স্পেশাল। দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে বার্সাকে স্তব্ধ করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন।

    প্রথমার্ধের পর আবারও এগিয়ে গেছে জুভেন্টাস। এবার পেনাল্টি বক্সের ভেতর ক্লেমেন্ত লেংলের হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। সেখান থেকে আবার গোল পেয়েছেন রোনালদো, চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের গোল নিয়ে গেছেন ১৩৪ এ। মেসির সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়েছেন আরও। চতুর্থ গোলটাও পেয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস, তবে লিওনার্দো বনুচ্চির গোলটা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়।

    ম্যাচের শুরুতে মেসি ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। তবে সময়ের সাথে সাথে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন, বক্সের ভেতর থেকে একাধিকবার পরীক্ষায় ফেলেছেন জিয়ানলুইজি বুফনকে। তবে অন্তত গোটা তিনেক গোল বাঁচানো সেভ করেছেন বুফন, ম্যাচে সাতটি শট নিয়েও তাই মেসির গোল পাওয়া হয়নি। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম গোলে এতগুলো শট নিয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগে কেউ গোলবঞ্চিত হলেন। রোনালদোর সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বৈরথেও এখন সমতা, দুই জনই জিতেছেন দুইটি করে। তবে মুখোমুখি সব ম্যাচ মিলে এখনো এগিয়ে আছেন মেসি।

    তবে বার্সার ক্ষতিটা যা হওয়ার, হয়ে গেছে এর আগেই। এই হারে নিশ্চিত হয়ে গেছে, ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্বে হেরেছে কোনো ম্যাচ। সেই সঙ্গে পরের নকআউট পর্বের ড্রতেও অবাছাই থাকবে বার্সা।

    ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ রোনাল্ড কোমানকে রীতিমতো ক্ষুব্ধই মনে হয়েছে, ‘আমরা একদমই আক্রমণাত্মক ছিলাম না। শুরু থেকে খেলা দেখে মনে হয়েছে আমরা না হারার জন্য মাঠে নেমেছি, সেজন্য প্রতিপক্ষ আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। আমরা একদমই ভালো ছিলাম না। ভীতও মনে হয়েছে আমাদের। ’

    গ্রিজমান অবশ্য নিজেদের কাঁধেই নিয়েছেন দায়িত্বটা, ‘মাঠে আমরাই খেলেছি, হারের দায়টা আমাদের। এখানে আর কারও দোষ নেই। আমাদের মধ্যে সবকিছুরই অভাব ছিল।’