সুযোগ নিতে পারেনি টটেনহাম-লিভারপুল, ৬১ বছর পর তিক্ত স্মৃতিটা ফিরে এলো আর্সেনালের
ইংলিশ লিগের এখন এমন অবস্থা, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আটটি দলের যে কেউ চলে যেতে পারে শীর্ষে। কাল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল টটেনহাম-লিভারপুলের, কিন্তু দুই দলই পয়েন্ট হারিয়েছে। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ব্যবধান কমিয়েছে লেস্টার, তবে ঘরের মাঠে টানা চতুর্থ হারের পর চাপটা আরও বেড়েছে আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতার ওপর।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল ২৩ মিনিটেই। এবারও হ্যারি কেন আর সন হিউইং মিনের যুগলবন্দি। সনের পাস থেকে কেনের শটটা বুঝতে না পেরে মিস করেন প্যালেস গোলরক্ষপক ভিসেন্তে গুইতা। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার আরও সুযোগ পেয়েছিল টটেনহাম, গোল করতে পারত প্যালেসও। কিন্তু গুইতা আরও দারুণ কিছু সেভ করেছেন, লরিসও একাধিকবার বাঁচিয়ে দিয়েছেন টটেনহামকে।
দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহামকে আরেকটু চেপে ধরে প্যালেস। শেষ পর্যন্ত গোলটা পেয়ে যায় ৮১ মিনিটে। এবেরেচি এজের ফ্রিকিক থেকে গোল পেয়ে সমতা ফেরান জেফ্রি শ্লুপ। শেষ দিকে গুইতা আরও দুর্দান্ত দুইটি সেভ করে জয় পেতে দেননি টটেনহামকে। ১-১ গোলেই ড্র হয়েছে ম্যাচ।
টটেনহাম ড্র করায় শীর্ষে উঠে যাওয়ার সুযোগ ছিল লিভারপুলের সামনে। কিন্তু ফুলহামের মাঠে শুরু থেকেই তারা ছিল কোণঠাসা। এলিসন সেভ না করলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়তে পারত লিভারপুল, ফুলহামও মিস করেছেন ভালো কিছু সুযোগ। তবে প্রাপ্য লিডটা ২৫ মিনিটেই নেয় ফুলহাম। ডান দিক থেকে ডে কর্ডোভা রিডের ডান পায়ের জোরালো শট জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধে ফুলহাম একটা পেনাল্টিও পেতে পারত, কিন্তু ফাবিনিওর ফাউলটা ভিএআরের পরামর্শ নিয়েও শেষ পর্যন্ত দেননি রেফারি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পেনাল্টিতেই কপাল পোড়ে ফুলহামের। ভিনালদামের ফ্রিকিক আবুবকর কামারার হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পুরো ম্যাচে সেভাবে কিছু করতে না পারা মোহামেদ সালাহ এবার স্পটকিক থেকে গোল করে সমতায় ফেরান। লিভারপুল পরে আর গোল পায়নি। ক্লপের জন্য দুঃসংবাদ, জোয়েল মাতিপ চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে কতদিনের জন্য, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তাই টটেনহাম আর লিভারপুলই এখন এক আর দুইয়ে।
নিজেদের ম্যাচ জিতলে তিনে উঠে আসত লেস্টার। সেটা হারায়নি তারা। ব্রাইটনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে উঠে এসেছে তিনে। জোড়া গোল পেয়েছেন জেমস ম্যাডিনসন, অন্য গোলটি জেমি ভার্ডির।
তবে দিনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে আর্সেনাল। কাল রেলিগেশন জোনে থাকা বার্নলির কাছে নিজেদের মাঠে হেরে গেছে ১-০ গোলে। এ নিয়ে নিজেদের মাঠে টানা চার ম্যাচ হারল আর্সেনাল, গত ৬১ বছরের মধ্যে এমন কিছু হয়নি। লাল কার্ড দেখেছেন গ্রানিত শাকা। এরপরেই পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পরেছিল আর্সেনাল। সেটা আর শোধ করতে পারেনি। গত আট ম্যাচে ওপেন প্লে থেকে মাত্র এক গোল দিয়েছে আর্সেনাল, আত্মঘাতী গোল খেয়েছে দুইটি। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাই আর্সেনাল এখনপয়েন্ট তালিকার ১৫ নম্বরে। মিকেল আরতেতার চাকুরি নিয়েই টানাটানি!