অথচ চূড়ান্ত স্বীকৃতি না পাওয়া
এটা ছিল এমন একটা বিশ্বকাপ আসর, যেখানে ছিলেন না কোন ‘প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ । অনেকেই হয়তো বুঝে ফেলেছেন, কোন বিশ্বকাপের কথা বলা হচ্ছে । হ্যাঁ, ১৯৭৫-এ আয়োজিত প্রথম সেই বিশ্বকাপ আসরই এখানে আলোচ্য বিষয় । প্রুডেনশাল লিমিটেড আয়োজিত প্রথম সেই বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো কিছু খেলোয়াড়ের উপর চলুন একটু আলোকপাত করা যাক।
রানের হিসেবে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার । ১৬৬.৫ গড়ে ৩৩৩ রান করেছিলেন টার্নার । নিউজিল্যান্ডকে সেমিফাইনালে ওঠাতে তাঁর অবদানই ছিল সবচেয়ে বেশি । ৩ ম্যাচে ৬৯.৬৬ গড়ে ২০৯ রান করে পাকিস্তানের বিখ্যাত ব্যাটসম্যান মাজিদ খান বেশ কিছুটা আলো ছড়ালেও দলকে সেমিফাইনালে ওঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ অবদান খুব একটা দৃষ্টি কাড়তে পারেনি । মারমুখি ব্যাটিংয়ে সবার নজর নিজের দিকে ফেরাতে বাধ্য করেন ইংল্যান্ডের ডেনিস অ্যামিস । ৪ ম্যাচে ২৪৩ করেছেন তিনি ৮৪.৩৭ স্ট্রাইক রেটে, যেটা সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে যথেষ্টই বেশি । তবে গড় মাত্র ৪০.২০ হলেও সবচেয়ে কার্যকরী অবদানটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান টার্নারের । ৫ ম্যাচে ২০১ রান করা অ্যালান দলকে ফাইনালে তুলতে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন ।
বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ান বোলার বার্নারড জুলিয়েন, কিথ বয়েসরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আলো ছড়িয়েছেন । দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে তাঁদের অবদানই ছিল পুরোভাগে । দুজনেই ১০টি করে উইকেট নেন । তবে মাত্র দুটো ম্যাচ খেলেই বোলিং পারফরমেন্স-এ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন অসি বোলার গ্যারি গিলমোর । মাত্র ৫.৬৩ গড়ে ২ ম্যাচে ১১টি উইকেট তুলে নেন এই অস্ট্রেলিয়ান ।