মারা গেলেন সাবেক ইংল্যান্ড পেসার ও কিংবদন্তী ধারাভাষ্যকার রবিন জ্যাকম্যান
মারা গেছেন সাবেক ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যের কিংবদন্তী রবিন জ্যাকম্যান। কেপটাউনে নিজ বাসায় ২৫ ডিসেম্বর ৭৫ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি, এমন জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলি। জন এডরিচের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই এসেছে এই সংবাদ।
১৯৪৫ সালে ভারতের শিমলায় জন্ম নেওয়া জ্যাকম্যান ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সালের মাঝে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ৪টি টেস্ট।
১৯৮১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল এই ডানহাতি পেসারের, তবে সে সফর স্মরণীয় হয়ে আছে আরেকটি কারণে। দ্বিতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল গায়ানার জর্জটাউনে। তবে তখন ‘অ্যাপার্টইড’-এর মাঝে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে জ্যাকম্যানের ভিসা বাতিল করেছিল গায়ানা সরকার। রাজনৈতিক চাপ মেনে নেবে না বলে খেলেনি ইংল্যান্ড, ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছিল সে টেস্টই। পরের টেস্টে ব্রিজটাউনে অভিষেক হয়েছিল তার, এরপর খেলেছিলেন সিরিজের ৫ম টেস্টে। পরের মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি।
ওয়ানডেতে তুলনামূলক লম্বা হয়েছিল তার ইংল্যান্ড ক্যারিয়ার, ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সালের মাঝে খেলেছিলেন ১৫টি ম্যাচ।
ইংল্যান্ডের হয়ে সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ার হলেও জ্যাকম্যান সারের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘদিন-- ১৯৬৬ সাল থেকে শুরু করে ১৬ মৌসুম। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে তার যোগাযোগও বেশ পুরোনো, ইংলিশ ক্রিকেটের শীতের মৌসুমে ১১ মৌসুম তিনি সেখানে খেলেছেন, কোচিং করিয়েছেন। তখনকার রোডেশিয়া (এখনকার জিম্বাবুয়ে) ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৪০০টির ওপর উইকেট আছে তার, সঙ্গে ৯ হাজারের ওপর রান।
অবসরের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে মিডিয়ায় কাজ করা শুরু করেন জ্যাকম্যান, টিভি কমেন্ট্রিতে সেখানে হয়ে ওঠেন কিংবদন্তী। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের টেলিভিশন ধারাভাষ্যে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি একসময়।
২০১২ সালে কন্ঠনালিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ ধরা পড়া টিউমার অপসারণও করা হয়েছিল সে সময়। সে বছরই নিজের আত্মজীবনী ‘জ্যাকারস, এ লাইফ ইন ক্রিকেট’ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।