• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    জানুয়ারির দলবদল: নিরুত্তাপ মৌসুমে শেষ দিনে লিভারপুলের ব্যস্ততা

    জানুয়ারির দলবদল: নিরুত্তাপ মৌসুমে শেষ দিনে লিভারপুলের ব্যস্ততা    

    কেমন হলো জানুয়ারির দলবদল মৌসুম। এক নজরে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর অবস্থা দেখে নেওয়া যাক।

     

    ১) লিভারপুল

    দলবদলের শেষের দিকে ব্যস্ত সময় পার করেছে ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, জো গোমেজ ইনজুরড হওয়ার পর সেন্টার ডিফেন্ডার খুব করেই দরকার ছিল তার। শেষ দিনে তারা দলে নিয়ে এসেছে দুই সেন্টারব্যাককে। প্রেস্টন থেকে ২ মিলিয়ন দিয়ে ডিফেন্ডারকে বেন ডেভিসকে এনেছে, আর শালকে থেকে ধারে এনেছে ডিফেন্ডার ওজান কাবাককে। ওদিকে মিনামিনো ধারে গেছেন সাউদাম্পটনে।

     

    ২) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

    শেষ পর্যন্ত আমাদ দিয়ালোর সাইনিংটাই জানুয়ারিতে ম্যান ইউনাইটেডের একমাত্র ট্রান্সফার ইন হয়ে থেকেছে। আতালান্তা থেকে দিয়ালকে আগেই এনেছিল, তবে ওয়ার্ক পারিমিট পেয়েছে গত মাসে এসে। ইউনাইটেড থেকে ওয়েস্ট হামে ধারে গেছেন মিডফিল্ডার জেসে লিনগার্দ। আর টিমোথি ফসু মেন্সা পাড়ি জমিয়েছেন বেয়ার লেভারকুসেনে।

    ৩) আর্সেনাল

     অন্য ক্লাবগুলোর তুলনায় আর্সেনাল মোটামুটি ব্যস্ত সময় পার করেছে এই জানুয়ারিতে। সবচেয়ে বড় খবর, মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল ক্লাব ছেড়ে গেছেন। রিয়াল থেকে লোনে এসেছেন মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড। শেষ দিনে শকুদ্রান মুস্তাফি আর্সেনাল থেকে ফ্রিতে গেছেন শালকেতে। ডিফেন্ডার কোলাসিনাচের ঠিকানাও হয়েছে শালকে।

     

    ৪) ম্যান সিটি

    গার্দিওলার দলও এবার জানুয়ারিতে মোটামুটি নিশ্চুপ সময় পার করেছে। তরুণ উইঙ্গার ফিলিপ স্টেভানোভিচকে হাইলি রেট করা হয় ইউরোপে। তিনি পার্টিজেন বেলগ্রেড থেকে সেছেন সিতিতে, যদিও আবার তাকে ধারে পার্টিজানে রেখেছে সিটি।

     

    ৫) চেলসি

    গ্রীষ্মকালীন মৌসুমেই সব দলবদল করে ফেলায় এবার জানুয়ারিতে পুরোপুরি নীরব ছিল।

     

    ৬) বার্সেলোনা

    সেই অর্থে তেমন কোনো দলবদল বার্সাও করেনি। জা ক্লেইয়ার তদিবো অনেক দিন থেকেই বার্সাতে আছেন, কিন্তু জায়গা পাকা করতে পারেননি। তিনি এবার ধারে গেছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব নিসে।

     

    ৭) রিয়াল মাদ্রিদ

    খেলোয়াড় আনা বথেকে ছেড়ে দেওয়াতেই বেশি ব্যস্ত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওডেগার্ড ধারে তো আর্সেনালে গেছেনই, আরেকটা বড় খবর হচ্ছে ফ্লপ লুকা ইয়োভিচকে আবার ধারে ফ্রাংকফুর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে রিয়াল।

    ৭)  অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ

    ডিয়েগো কস্তা না থাকায় লুইস সুয়ারেজের একজন ব্যাক আপ স্ট্রাইকারের দরকার ছিল অ্যাটলেটিকোর। লিও থেকে মুসা দেম্বেলেকে নিয়ে এসেছে তারা। দেম্বেলে লিওতে এই মৌসুমে ব্যর্থ হলেও গত দুই মৌসুমে করেছেন ৪৪ গোল। ধার হিসেবে এটা অ্যাটলেটিকর জন্য লাভজনক বিনিয়োগ হতে পারে।

    এহচাড়া এবারের দলবদলে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আছে রেড বুড সালজ বুর্গ থেকে দমনিক জজবুলাইয়ের লাইপজিগে আসা। এই মিডফিল্ডারকে বলা হচ্ছে এই সময়ের সেরাদের একজন। এছাড়া ওয়েস্ট হাম থেকে আয়াক্সে গেছেন স্ট্রাইকার সেবাস্টিয়ান হালার, ব্রাইটন ইকুয়েডর থেকে নিয়ে এসেছে হাইলি রেটেড মিডফিল্ডার ময়জেস কাসেদোকে।