ছয় মিনিটের ঝড়ে লিভারপুলকে এলোমেলো করে দিল লেস্টার
৭০ মিনিট পর্যন্তও ম্যাচের লাগাম তাদের হাতে। মো সালাহ গোল দিলেন, লিভারপুল দেখছে তিন পয়েন্ট পাওয়ার স্বপ্ন। এরপর হঠাৎই এক ঝড়, আর তাতে এলোমেলো লিভারপুল। ৩-১ গোলে হেরে শিরোপালড়াই থেকে পিছিয়ে পড়ল আরও, টানা হারল তিন ম্যাচে। ক্রিসমাসেও যে দলটা সবার ওপরে ছিল, তারা এখন পয়েন্ট তালিকার চারে। এই সপ্তাহের পর এমনকি ছিটকে যেতে পারে শীর্ষ আট থেকেও।
আক্রমণ আর পালটা আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই জমজমাট ছিল। প্রথমার্ধে দুই দলই গোল পেতে পারত্ত, সালাহ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ভার্ডি পোস্টে লাগিয়েছেন, আবার এলিসন ঠেকিয়ে দিয়েছেন ভার্ডিকে। প্রথমার্ধটা তাই কেটেছে গোলশূন্য।
নাটক শুরু হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে এসে। ৬৭ মিনিটে হুট করেই গোলটা পেয়ে যায় লিভারপুল। রবার্তো ফিরমিনোর দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে বাঁ পায়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন সালাহ, এই মৌসুমে করেছেন ১৭তম গোল। এরপরেই হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে লিভারপুল। শুরুটা হয়েছে ভিএআরের হস্তক্ষেপ থেকে। থিয়াগো বক্সের ঠিক মাথায় ফাউল করলে ফ্রিকিক দিয়েছেন রেফারি। ভিএআর রিপ্লেতে অনেকক্ষণ দেখে রেফারির সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে, যদিও সিদ্ধান্তটা ছিল বেশ ক্লোজ। কিন্তু সেই ফ্রিকিক থেকেই গোল করে এগিয়ে দিয়েছেন জেমস ম্যাডিসন। এবার সহকারী রেফারি অফসাইড দিলেও ভিএআর সেটা বলেছেন অনসাইড।
সেই গোলটাই যেন ভেঙে দিয়েছে লিভারপুলের মনোবল। মিনিটখানেক পর যে ভুল হলো সেটার ব্যাখ্যা এলিসনই ভালো দিতে পারবেন। নতুন ডিফেন্ডারের কাবাকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে একদম ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ভার্ডি, ফাঁকা পোস্টে গোল পেয়েছেন। গত সপ্তাহে সিটির ম্যাচের পর এলিসন আবারও ভুল করলেন, দিনকাল খারাপই যাচ্ছে তার। কিছুক্ষণ পর এবার রক্ষণের ভুলে বাঁয়ে বল পেয়ে গেছেন হার্ভি বার্নস, এলিসনের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন।
এই জয়ে লেস্টার উঠে এলো দুইয়ে, ম্যান ইউনাইটেডের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে তারা। ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ম্যান সিটি।