দলে থাকলে টেস্টকেই প্রাধান্য দেবেন মোস্তাফিজ
শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজের দলে থাকলে আইপিএলের আগে দেশের হয়ে টেস্ট খেলাকে প্রাধান্য দেবেন মোস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি সাকিব আল হাসানের টেস্টের ওপর আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর এমন বললেন মোস্তাফিজ, যিনি নিজেও টেস্টে ফিরেছেন বেশ লম্বা বিরতির পর।
আইপিএলের সময় বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলতে চান না, সাকিবে এমন সিদ্ধান্তের পর বিসিবি জানিয়েছে, কেউ না খেলতে চাইলে তাকে জোর করে খেলাবে না তারা। এবারের আইপিএলে সাকিব ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে দল পেয়েছেন মোস্তাফিজ, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলবেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিরে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে দুটি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা আছে বাংলাদেশের। সে সিরিজের সূচি চূড়ান্ত না হলেও আইপিএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে তা। নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে মোস্তাফিজ বলেছেন, তার আইপিএলে খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত এখন বিসিবির ওপর, “যদি টেস্টে আমাকে রাখে, আমি টেস্ট খেলবো। যদি না রাখে তাহলে বিসিবি জানে... বিসিবি যেটা বলবে আমি সেটা করবো।”
এর আগে শেষ আইপিএলের নিলামে না থাকলেও পিছিয়ে যাওয়া আসরে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা হয়েছিল মোস্তাফিজের। তবে সে সময় শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের, ফলে শেষ পর্যন্ত সেখানে খেলা হয়নি তার।
সোমবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, মোস্তাফিজের ক্ষেত্রেও বিসিবির বার্তা একই, “মোস্তাফিজ আজকে এসেছিল আমার সাথে দেখা করতে। আমাকে বলেছে সে আইপিএলের ব্যাপারে যে সে যাবে কিনা জানতে চায়। আমি বলেছি দেখো এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তুমি যদি খেলতে না চাও, তুনি যদি ওখানে যেতে চাও আমাদেরকে একটা চিঠি দিয়ে দাও, আমরা তোমাকে আটকাব না। বার্তাটা সবার জন্য, একদম পরিষ্কার। এটা কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য না, এটা সাকিবের জন্য কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছিনা। এটা সবার জন্যই সমান।”
তবে ‘দেশপ্রেম’ আগে, এমন উল্লেখ করেছেন মোস্তাফিজ, “সবার আগে আমার দেশের খেলা প্রথমে, শ্রীলঙ্কা টেস্টে যদি থাকি, তাহলে আমি টেস্ট খেলবো। যদি না থাকি তাহলে বিসিবি তো আমাকে বলবে যে আমি নাই। আমি বিসিবিকে বলবো, বিসিবি যদি আমাকে ছাড়ে তাহলে আমি আইপিএলে খেলবো। দেশপ্রেম আগে।”এসব বিষয়ে তার ওপর কোনো চাপ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট খেলার পর এই ফরম্যাট থেকে বাদ পড়েছিলেন মোস্তাফিজ। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য তার ভেতরে ঢোকানো বল নিয়ে সমস্যার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সম্প্রতি পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে সেটি নিয়ে কাজ করেছেন, বোলিংয়েও ছিল সেটির ছাপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে ছিলেন তিনি। তবে সেখানে স্টাম্পঘেঁষে বোলিং করতে গিয়ে পিচের ডেঞ্জার জোনে রানিংয়ের জন্য আম্পায়ারের সতর্কতা শুনেছিলেন। সে সমস্যা এবং মিরপুরের একটু ভিন্ন পিচ ও কন্ডিশনের কারণে তার বদলে আবু জায়েদ রাহিকে খেলিয়েছিল বাংলাদেশ।