কোচ হিসেবে সাকিবের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন ডমিঙ্গো
টেস্টের বদলে সাকিব আল হাসানের আইপিএলকে প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কোচ হিসেবে সম্মান দেওয়া জানানো ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এখনকার সময়ে কাউকেই কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটের জন্য জোর করার উপায় নেই বলেও মত তার। এ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে কাউকে বিচার করাও কঠিন বলে ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন ডমিঙ্গো।
“এটা একটা কঠিন ব্যাপার”, সাকিবের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলেছেন ডমিঙ্গো। “কোচ হিসেবে সবসময়ই সাকিবকে দলে চাই আমি। তবে অন্যদিক দিয়ে দেখলে, যদি কোনও খেলোয়াড় এ ব্যাপারে পুরো আগ্রহী না হয়, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে অন্য সুযোগ থাকে, তাহলে এ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে তাকে বিচার করাটা কঠিন। আমার মনে হয় এ সিদ্ধান্ত তাকে নিতেই হতো। সে নানা জায়গা থেকে মত নিতে পারে, কিন্তু এটা সাকিবেরই (চূড়ান্ত) সিদ্ধান্ত। কোচ হিসেবে আমাদের তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে। তার ক্যারিয়ার, তার জীবিকা-- ফলে আমরা এসব বিচার করার কেউ নই।”
সাকিব এখন কোন ফরম্যাটে কীভাবে খেলবেন, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে মনে করেন ডমিঙ্গো, “আমি জানি যখন সে বাংলাদেশের হয়ে খেলে, পুরো নিবেদন দিয়েই খেলে। (এখন) কোন ফরম্যাটে সে খেলবে, বোধহয় সেসব আলোচনা করা যেতে পারে। যেভাবে এখনকার ক্রিকেট এগুচ্ছে, তাতে কাউকে কোনো ফরম্যাটের জন্য জোর করা যায় না। ক্রিকেটার এবং বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমাদের সেসবকে সম্মান জানাতে হবে।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডমিঙ্গোও। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ঠিকপথে এগুলেও টেস্টের সংস্কৃতি বদলাতে হবে, এমন মত তার, “টেস্টে যেখানে থাকা উচিৎ, আমরা তার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি অবশ্যই। আমাদের টেস্ট দলের সংস্কৃতি বদলাতে হবে। এমন একটা দল তৈরি করতে হবে, যারা টেস্টে ভাল করতে মুখিয়ে আছে, টেস্ট খেলার স্কিল আছে, এবং পাঁচদিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো মনোবল আছে যাদের। এটা আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”
“আমি জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ হারের পর অনেক হতাশ সবাই। তবে টেস্টে কতোটা পিছিয়ে পড়েছি, সেটা দেখিয়ে দিয়েছে এটি। ছেলেরা বলবে যে হয়তো তারা অতীতে জিতেছে, তবে সেগুলো বিচ্ছিন্ন। এখনও তারা মেজর কোনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি। টেস্টে এখনও অনেক কাজ বাকি। কোচ এবং ম্যানেজেমন্টের অংশ হিসেবে এ উন্নতিটিকে আমি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখি। আমার কাছে এটিই এক নম্বর ফরম্যাট, তবে ক্রিকেটারদেরকে সেটা বুঝানো সবচেয়ে বড় ব্যাপার। টেস্ট ম্যাচের মর্মটা বুঝতে পারাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ক্রিকেটারদের।”
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ডেরে উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ।