মেন্ডির গোলে দশজনের আটালান্টাকে হারাল রিয়াল, কোয়ার্টারে এক পা দিয়ে রাখল ম্যান সিটি
স্প্যানিশ দলগুলোর ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো এর মধ্যেই খাদের কিনারায় চলে গেছে, বাকি ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে রিয়াল মাদ্রিদ কাল আর পা হড়কায়নি, দশজনের আটালান্টাকে ১-০ গোলে হারিয়ে পেয়েছে মূল্যবান অ্যাওয়ে জয়। তবে ইংলিশদের আধিপত্য ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ২-০ গোলে হারিয়েও তারাও চলে গেছে শেষ আটের কাছাকাছি।
আটালান্টার মাঠে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া মুহূর্তটা আসে ১৭ মিনিটে। ফার্লান্দ মেন্ডি ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন, গোল করার কাছেও যেতে পারতেন, তখনই তাকে ফাউল করে বসেন রেমো ফ্রেউলার। লাল কার্ড দেখান রেফারি, ১৭ মিনিটেই দশ জনের দল হয়ে যায় আটালান্টা। এরপর বাকি সময় আটালান্টার রক্ষণ আর রিয়ালের আক্রমণের।
চোটের জন্য কালও মূল একাদশের অনেককে পাননি জিনেদিন জিদান। রামোস, হ্যাজার্ড, বেনজেমাদের কালও প্রথম একাদশে পাওয়া যায়নি, ভরসা রাখতে হয়েছে ইস্কো, আসেন্সিওদের ওপর। কিন্তু দশজন নিয়েও গোল পাচ্ছিল না রিয়াল। আটালান্টা নিজেদের কাজটা ভালোমতোই করে যাচ্ছিল। রিয়ালের সুযোগ বলতে ইসকর হেড চলে গেছে পাশ দিয়ে, আর আন্সেন্সিও এক দুইবার চেষ্টা করেও গোলরক্ষককে পারেননি বড় পরীক্ষায় ফেলতে।
যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচটা গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হবে, তখনই ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেন্ডির ডান পায়ের বাঁক খাওয়ানো শট জড়িয়ে যায় জালে। রিয়াল পায় মহামূল্যবান অ্যাওয়ে জয়।
ম্যান সিটির জয়টা এসেছে অনেক অনায়াসেই। এই মৌসুমে ইংলিশ লিগে তারা যেমন দুর্দান্ত, সেই ধারাটা কাল ধরে রেখেছে চ্যাম্পিয়নস লিগেও। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল করলেও কাল সেরকম কোনো সুযোগই পায়নি। সিটির গোলে নিজেদের প্রথম শট নিয়েছে যোগ করা সময়ে এসে।
সিটি অবশ্য প্রথম গোলটা পেয়ে গেছে ২৯ মিনিটে। ক্যান্সেলোর ডান পায়ের দারুণ ক্রস থেকে হেড করে এগিয়ে দিয়েছেন বার্নার্দো সিলভা। ৬৫ মিনিটে আবার ক্যান্সেলো আর সিলভার যুগলবন্দি, এবার কাজটা শেষ করেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। শেষ দিকে আগুয়েরো নেমেছিলেন বদলি হয়ে। কোভিডের জন্য মনশেনগ্লাডবাখও ম্যাচটা খেলতে পারেনি জার্মানিতে নিজেদের মাঠে। পরের পর্বে উঠতে হলে এখন তাদের মিরাকলই দরকার।