তানভীরের ৫ উইকেটের পর প্রথম দিনের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের
একমাত্র আন-অফিশিয়াল টেস্ট, চট্টগ্রাম
১ম দিন, স্টাম্পস
আয়ারল্যান্ড উলভস ১ম ইনিংস ১৫১ অল-আউট (ক্যামফার ৩৮, তানভীর ৫/৫৫, এবাদত ২/৩২, সাইফ ২/১৫)
বাংলাদেশ ইমার্জিং ৮১/১* (তানজিদ ৪১, সাইফ ২২*, জয় ১৮*, টেক্টর ১/২৪)
তানভীর ইসলামের ৫ উইকেট, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেনের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সঙ্গে পার্ট-টাইমার সাইফ হাসানের জোড়া উইকেটে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ১৫১ রানে আটকে দেওয়ার পর প্রথম দিনশেষে দৃঢ় অবস্থানে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম। চট্টগ্রামে একমাত্র আন-অফিশিয়াল টেস্টের নিয়ন্ত্রণ প্রথমদিনই প্রায় চলে গেছে স্বাগতিকদের কাছে।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড উলভস অধিনায়ক হ্যারি টেকটর, প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে বাংলাদেশি ইমার্জিংকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৫তম ওভার পর্যন্ত। জেমস ম্যাককোলাম হয়েছেন এলবিডব্লিউ, তানভীরকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ৫ম উইকেটে কুরটিস ক্যামফার ও লোরকান টাকারের ৪৯ রানের জুটি ছাড়া সে অর্থে তেমন বড় জুটি নেই উলভস ইনিংসে, ফলে ইনিংসও বড় হয়নি তাদের।
ম্যাককোলাম ফেরার পর ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছিল উলভস, এবাদতের শর্ট অফ আ লেংথের বলে পুল করতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে ফিরতে হয়েছে জেরেমি ললারকে, পরের ওভারের প্রথম বলে তানভীরের বেরিয়ে যাওয়া বলে কাট করতে গিয়ে আকবর আলির ভাল ক্যাচে পরিণত হয়েছেন অধিনায়ক টেকটর। এবাদতের ফুললেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন এরপর স্টিফেন ডোহেনি, লাঞ্চের ঠিক আগে উলভসের দুর্দশা বেড়েছে আরও।
ক্যামফারের সঙ্গে টাকারের জুটি একটু আগলে রেখেছিল তাদের, তবে সাইফকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপত্তি ডেকে এনেছেন টাকার। সাইফ সেখানেই থামেননি, এরপর ফিরিয়েছেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে টেনে মারতে যাওয়া গ্যারেথ ডিলানিকে, যিনি ধরা পড়েছেন লং-অনে। মাঝে তানভীরকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন মার্ক এডেয়ার।
একদিকে এতক্ষণ আইরিশদের আশা হয়ে থাকা ক্যামফারও হয়েছেন এলবিডব্লিউ, তানভীরের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে আড়াআড়ি খেলার চেষ্টায়। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঠিক মানতে পারেননি তিনি, প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, তার মতে ইনসাইড-এজ হয়েছিল।
১২৭ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এবাদত নিয়েছেন আরেকটি, জোনাথন গার্থ লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড। বেশ খানিক্ষণ টিকে থাকা গ্রাহাম হিউম এরপর তানভীরের পঞ্চম শিকার, যদিও ক্যামফারের মতো তিনিও ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেননি আম্পায়ারের কট-বিহাইন্ডের সিদ্ধান্তে।
তানজিদ হাসান তামিম এরপর শুরু থেকেই ছিলে আক্রমণাত্মক, চতুর্থ ওভারে হিউমকে মেরেছিলেন ৪টি চার-- হুক, ফ্লিক, স্কয়ার কাট ও ব্যাকফুট পাঞ্চে। পরের ওভারে হিউমকে আরও টানা দুটি চারের পর টেকটরকে মেরেছিলেন আরেকটি। এরপর ৯টি ডট দিয়েছেন, সে চাপ থেকে বের হতে গিয়ে টেকটরকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন মিড-অনে ক্যাচ দিয়ে, ৩৯ বলে ৪১ রান করে। দিনের বাকি ১০ ওভারের মতো সময় নিরাপদে পার করেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাইফ ও মাহমুদুল হাসান জয়।