রোনালদোর মাইলফলকের দিন আশা বাঁচিয়ে রাখল জুভেন্টাস
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য কালকের রাতটা ছিল মাইলফলক ছোঁয়ার। পেশাদার লিগে নিজের ৬০০তম ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন কাল, একটা রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল ম্যাচে নামার সময়েই। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে হয়ে গেল আরেকটা অনন্য কীর্তি, প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন শীর্ষ পাঁচ লিগে অন্তত ২০ গোল করে করলেন রোনালদো। আর স্পেৎজিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সিরি আ শিরোপাদৌড়ে টিকে রইল জুভেন্টাস। তবে সিরি আ তে কালকের দিনের সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল লাৎসিওর মাঠে শেষ মুহূর্তে তুরিনোর খেলতে না আসা।
জুভেন্টাস আগের ম্যাচটা ভেরোনার সঙ্গে ড্র করে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছিল। কালকের ম্যাচের জন্য তাই তাদের জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। প্রথমার্ধে অবশ্য কোনো গোল পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে মোরাতা ও বার্নাডেস্কিকে নামান পিরলো, সেটাই অনেকটা গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। বার্নাডেস্কির পাস থেকে মোরাতা গোল করেই প্রথম এগিয়ে দিয়েছেন জুভেন্টাসকে। গত ডিসেম্বরের পর লিগে এই প্রথম গোল পেলেন মোরাতা। এর খানিক পর আবার বার্নাডেস্কির অ্যাসিস্ট, এবার গোল করলেন ইনফর্ম ফেদেরিকো কিয়েসা। আর ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে দারুণ একটা পালটা আক্রমণ থেকে গোল করে রোনালদো স্মরণীয় করে রাখলেন রাতটা। টানা ১২টি মৌসুমে অন্তত ২০ গোল করার কীর্তি মেসিরও আছে, তবে রোনালদো সেটি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে করেছেন ভিন্ন ভিন্ন লিগে। এই জয়ে জুভেন্টাসের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৪৯, দুইয়ে থাকা এসি মিলানের চেয়ে তিন পয়েন্ট কম। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে ইন্টার মিলান।
তবে সিরি আর কালকের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি হয়েছে অন্য জায়গায়। লাৎসিওর সঙ্গে খেলার কথা ছিল তুরিনোর, কিন্তু তাদের আটজন খেলোয়াড় ও স্টাফ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি। সিরি আ অবশ্য চেয়েছিল তুরিনো আসুক, তাদের জন্য লাৎসিও ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষাও করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুরিনো আসেনি। নিয়ম অনুযায়ী লাৎসিও ৩-০ গোলে বিজয়ী হয়ে তুরিনোর ১ পয়েন্ট কাটা যাওয়ার কথা। অবশ্য তুরিনো এটার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। গত বছর নাপোলি এমন পরিস্থিতিতে আপিল করে পয়েন্ট ফেরত পেয়েছিল।