সুমন-হৃদয়-জয়ে দাপুটে জয়ে সিরিজ বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের
৪র্থ আন-অফিশিয়াল ওয়ানডে, মিরপুর
আয়ারল্যান্ড উলভস ১৮২ অল-আউট, ৪৬.২ ওভার (এডেয়ার ৪০, প্রিটোরিয়াস ৩৫, হিউম ২৯*, সুমন ৪/৩১, মুগ্ধ ২/২৯, রাকিবুল ২/৩৬, সাইফ ২/২৫)
বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম ১৮৬/২, ৪৩.১ ওভার (হৃদয় ৮৮*, জয় ৮০*, চেজ ২/২৯)
বাংলাদেশ ইমার্জিং ৮ উইকেটে জয়ী ও সিরিজে ৩-০তে এগিয়ে
চট্টগ্রাম থেকে মিরপুর-- ভেন্যু বদলালেও আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের দাপট কমলো না। সুমন খানের ৪ উইকেটের সঙ্গে অন্য বোলারদের তোপে উলভসকে ১৮২ রানেই আটকে দেওয়ার পর তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল হাসান জয়ের অপরাজিত ৮০-পেরুনো দুটি ইনিংস এবং এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৭৬ রানের জুটিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ইমার্জিং টিম। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম, ৪ ম্যাচের মাঝে এক ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যক্ত।
টসে জিতে এদিনও ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং টিম, ৫ম ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তার বাড়তি বাউন্সে এজড হয়েছিলেন স্টিফেন ডোহেনি। এরপর সুমন খানের তোপে পড়েছে উলভস, নিজের দুই ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। জেরেমি ললার কট-বিহাইন্ড, ঠিক পরের বলে একই পরিণতি অধিনায়ক হ্যারি টেকটরেরও। কুরটিস ক্যামফার হ্যাটট্রিক আটকেছিলেন, তবে সুমনের পরের ওভারে ফিরতে হয়েছে তাকেও-- একমাত্র স্লিপে থাকা ইয়াসির আলি রাব্বি বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিয়েছিলেন দারুণ ক্যাচ।
১৩ ওভারের মাঝে ৪ উইকেট, ১৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেটের চাপ থেকে এরপর ঠিক বেরুতে পারেনি উলভস। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে ওপরে পাঠানো মার্ক এডেয়ার একটু চেষ্টা করেছিলেন। লোরকান টাকারের সঙ্গে ৫ম উইকেট জুটিতে ৪৬ রান তুলেছিলেন, তবে নিজে ফিরে গেছেন রাকিবুলের কুইকারে এলবিডব্লিউ হয়ে, ৪৯ বলে ৫ চার ও ১ ছয়েও ৪০ রান করে, আইরিশদের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল এডেয়ারেরই।
এরপর রাকিবুলের ঠিক পরের ওভারে ফিরেছেন টাকারও, আইরিশদের দুর্দশা বেড়েছে আরেকটু। গ্যারেথ ডিলানি ও রুহান প্রিটোরিয়াস এরপর রানের জন্য ভুগেছেন, মুগ্ধর শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে সে ভোগান্তি শেষ হয়েছে ডিলানির। উলভসকে এরপর টেনেছেন দুই ‘দক্ষিণ আফ্রিকান’-- প্রিটোরিয়াসের সঙ্গে গ্রাহাম হিউম। ৮ম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেছেন ৫৭ রান, ১৪.১ ওভার ব্যাটিং করে।
৪৫ বলে ৩৫ রান করে সাইফ হাসানের প্রথম শিকার প্রিটোরিয়াস, তবে শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হিউম। মাঝে বেন হোয়াইটকে ফিরিয়েছিলেন সাইফ, আর শেষে পিটার চেজের স্টাম্প উড়িয়ে নিজের চতুর্থ শিকার পেয়েছেন সুমন।
ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়া সাইফ পরে আসেননি ওপেনিংয়ে, তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গী ছিলেন জয়। তৃতীয় ওভারে চেজের লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন তামিম, আর ডাউন দ্য লেগের বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে রাব্বি ফিরেছেন সে ওভারেই। ১০ রানেই ২ উইকেট নিয়ে যদি আইরিশরা একটু আশা পায়, সেটি এরপর ধীরে ধীরে শেষ করেছেন হৃদয় ও জয়।
সমানতালে এগিয়েছেন দুজন, বেশ সতর্ক থেকে এগিয়েছেন রানতাড়ায়। প্রথমে ফিফটি পূর্ণ করেছেন জয়, ৯৮ বলে। ৭০ বলে তাকে অনুসরণ করেছেন হৃদয়, হোয়াইটকে চার মেরে। ফিফটি পূর্ণ করার পর আক্রমণাত্মক হয়েছেন দুজনই, শেষ ৭৪ রান তারা তুলেছেন ৬৩ বলে। টেকটরকে টানা দুই চারে ম্যাচ শেষ করেছেন জয়। হৃদয় ৮৮ রানের ইনিংসে খেলেছেন ৯৭ বল, মেরেছেন ৮টি চার। জয় ১৩৫ বলে ৮ চারে অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে।